খেলা – ঘরের মাঠে জাতীয় দলের জার্সিতে শেষবার নামছেন লিওনেল মেসি—এমনটাই আশা করেছিলেন মেসিভক্তরা। অনুরাগীদের সেই অনুমানকে সত্যি করে তুললেন কি বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকা? শুক্রবার ভোরে আর্জেন্টিনার ম্যাচ শুরুর আগে তাঁর চোখের কোনায় জল চিকচিক করতে দেখা যায়। মাঠে নেমে অবশ্য তিনি ছিলেন স্বমহিমায়। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক হয়ে ওঠেন। কিন্তু ম্যাচের পর মেসির মন্তব্যে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আগামী বছরের বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। ফলে প্রশ্ন উঠছে—বিশ্ব ফুটবলে কি তাহলে লিও যুগের অবসান ঘনিয়ে এল?
শুক্রবার ভোরে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে। কিন্তু ম্যাচে নামার আগে মেসি জানিয়েছিলেন, “ওই ম্যাচটা খুব স্পেশাল হতে চলেছে। কারণ এটি যোগ্যতা অর্জন পর্বের শেষ ম্যাচ।” এই মন্তব্যে ভক্তদের মধ্যে জল্পনা তৈরি হয়, ঘরের মাঠে হয়তো আর আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে নামবেন না তিনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরের বিশ্বকাপে মেসিকে দেখা যেতে পারে। এরপরই হয়তো ফুটবলকে বিদায় জানাবেন তিনি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আবেগ আর উচ্ছ্বাসে ভাসছিল গোটা স্টেডিয়াম। খেলা শুরুর আগে মেসির চোখে জল ধরা পড়লেও মাঠে নেমে সেই আবেগকে শক্তিতে রূপান্তরিত করেন তিনি। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে মেসির পা থেকে আসে প্রথম গোল। নিখুঁত শটে বল জড়িয়ে দেন জালে, আর স্টেডিয়াম তখন উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। ম্যাচের ৮০ মিনিটে ফের গোল করেন লিও, নিজের জাদুকরী ফুটবলে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ, মেসির প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে হাজির ছিলেন তাঁর সন্তানরাও।
