নদিয়া – নদিয়ার তেহট্টে বালক খুন এবং গণধোলাইয়ের ঘটনায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গণপিটুনির ঘটনায় প্রথম গ্রেপ্তারি হল। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবক তেহট্টের নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা এবং সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ইতিমধ্যে পুলিশ গণপিটুনির ঘটনায় মোট ২০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে এক বালক বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ খোঁজ শুরু করে, কিন্তু সেদিন তাকে পাওয়া যায়নি। পরের দিন ভোর সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ডোবা থেকে উদ্ধার হয় তার নিথর দেহ। অভিযোগ ওঠে, সন্দেহের বশে স্থানীয়রা পাশের বাড়ির এক দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করে। এমনকি তাঁদের বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে, কিন্তু উন্মত্ত জনতার বাধার কারণে সেখানে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। দমকলের গাড়িও ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বড়সড় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে। একটি বালক খুনের, অপরটি গণপিটুনির। খুনের ঘটনায় মোট সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গণধোলাইয়ের ঘটনায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত পুলিশের জালে তিনজন ধরা পড়েছে।
তবে বালকের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ খতিয়ে দেখছে, অপহরণের চেষ্টায় বাধা পেয়ে খুন হয়েছে কিনা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে এবং শিগগিরই পরিষ্কার ছবি সামনে আসবে।
