দেশ – প্রত্যাশামতোই ফলাফল প্রকাশিত হলো উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জয়ী হয়ে দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। ইন্ডি জোটের প্রার্থী প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডিকে হারিয়ে এই জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ফল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাধাকৃষ্ণণকে অভিনন্দন জানান।
এদিন লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের ভোটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর গণনা শুরু হয়। রিটার্নিং অফিসার পিসি মোদী ফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণণ পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট, আর ইন্ডি জোটের প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০ ভোট। মোট ৭৮১ জন সাংসদের মধ্যে ৭৬৭ জন ভোট দেন, যার মধ্যে ৭৫২টি ভোট বৈধ এবং ১৫টি ভোট অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ফলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৭৭ ভোট, যা অনেক ব্যবধানে অতিক্রম করেন রাধাকৃষ্ণণ।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের এই প্রক্রিয়া শুরু হয় জগদীপ ধনখড়ের হঠাৎ পদত্যাগের পর। গত ২১ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই ধনখড় শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর ১৭ অগস্ট এনডিএ রাধাকৃষ্ণণকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বিরোধী দলগুলোর কাছে রাধাকৃষ্ণণকে সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থনের আবেদন জানান। তবে বিজেপির সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইন্ডি জোট সুদর্শন রেড্ডিকে প্রার্থী করে।
কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, ইন্ডি জোটের ৩১৫ জন সাংসদ ভোট দেন, কিন্তু সুদর্শন রেড্ডির প্রাপ্ত ভোট মাত্র ৩০০। এতে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে, বাতিল ঘোষিত ১৫টি ভোট কি ইন্ডি জোটের সাংসদদেরই ছিল?
৬৭ বছর বয়সী সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু থেকে তৃতীয় ব্যক্তি যিনি দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। কোয়েম্বাটুর থেকে তিনি দুইবার লোকসভার সাংসদ ছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে রাধাকৃষ্ণণ আরএসএসের সংস্পর্শে আসেন। পরবর্তীতে ভারতীয় জনসংঘে যোগ দেন এবং ১৯৮০ সালে বিজেপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সক্রিয়ভাবে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন।
