বিদেশ – ভারত–নেপাল সীমান্তে এখনও থমথমে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার সেই চিত্র ধরা পড়ল দার্জিলিং জেলার পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত এলাকায়। নেপাল থেকে জরুরি প্রয়োজনে ভারতে প্রবেশের অনুমতি মিললেও, ভারত থেকে নেপালে যাতায়াতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। ফলে সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে পুলিশ ও এসএসবি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন এসএসবির ডিআইজি মঞ্জিত সিং।
নেপালে চলা জেন জি আন্দোলনের আঁচ ভারতের ভেতরে না পড়লেও সীমান্তে তার প্রভাব স্পষ্ট। প্রতিদিন প্রায় আটশো থেকে এক হাজার ট্রাক এই সীমান্ত দিয়ে পারাপার করে। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে সব ট্রাক সীমান্তে আটকে রয়েছে। বেশিরভাগ ট্রাকে রয়েছে আলু, পটল, খাদ্যশস্য ও তেলের ট্যাঙ্কারের মতো জরুরি সামগ্রী। ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিপাকে পড়েছেন ট্রাক চালকেরাও। সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেই আশাতেই অপেক্ষা চলছে।
তবে নেপাল থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের দাবি, বৃহস্পতিবার থেকে ওপারের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দেশ ছাড়ার পর এবং সেনা শাসনভার গ্রহণ করার পর আন্দোলনের তীব্রতা কমেছে। তবে দেশজুড়ে কার্ফু জারি থাকায় সাধারণ মানুষ উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন।
নেপাল থেকে আগত প্রবীন কুমার রাই জানান, “ওপারে এখনও অস্থিরতা রয়েছে। প্রশাসন নেই, সেনাই সব সামলাচ্ছে।”
এদিন সীমান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পানিট্যাঙ্কি এলাকায় পৌঁছান কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ফোর্সের এডিজি অজয় নন্দা। তিনি এসএসবির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং জানান, নেপালের সঙ্গে থাকা পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং সীমান্তে অতিরিক্ত পুলিশি নজরদারি চালানো হচ্ছে।
