বিনোদন – জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের দেহ রবিবার সকালে গুয়াহাটির বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের মতো দেখতে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় জমান। স্ত্রী গরিম সৈকিয়া গর্গ এবং রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। ফুল দিয়ে সাজানো অ্যাম্বুলেন্সে ভিআইপি এক্সিট দিয়ে তার দেহ বের করা হয়। বাইরে ভক্তদের ঢল নেমে আসে। কেউ গান গেয়ে, কেউ ‘জয় জুবিন দা’ স্লোগান দিতে দিতে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে হাঁটতে থাকেন। অনেক ভক্তকে কাঁদতে দেখা যায়, হাতে ছিল জুবিনের ছবি ও ঐতিহ্যবাহী গামোসা, যাতে লেখা ছিল “জে জি ফরএভার”।
শোকযাত্রায় গুয়াহাটি পুলিশের মহাপরিচালক ও কমিশনাররাও সামনের সারিতে থেকে পথ পরিষ্কার করতে সাহায্য করেন। জুবিনের প্রিয় খোলা জিপও ছিল শোভাযাত্রায়, যার সামনে রাখা হয়েছিল তার বিশাল প্রতিকৃতি। তার সঙ্গের বাদ্যশিল্পীরাও উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে। তিন দশকের গায়কী জীবনে তিনি ৪০টিরও বেশি ভাষা ও উপভাষায় প্রায় ৩৮,০০০ গান গেয়েছেন, যা তাকে অমর করে রেখেছে ভক্তদের হৃদয়ে। তার দেহ আপাতত অর্জুন ভোগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সের বাইরে রাখা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। রাত থেকেই সেখানে মানুষের ভিড় শুরু হয়েছে।
এরপর প্রথমে তার কাহিলিপাড়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ, যেখানে অসুস্থ ৮৫ বছর বয়সী বাবা ও পরিবারের সদস্যরা শেষ শ্রদ্ধা জানান। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ভক্তদের জন্য দেহ রাখা হবে। শেষকৃত্যের বিস্তারিত এখনও ঠিক হয়নি। রবিবার সন্ধ্যায় অসম মন্ত্রিসভার বৈঠকে দাহস্থল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছিলেন, জুবিনের কফিনটি চার্টার্ড বিমানে আনা সম্ভব না হওয়ায় সাধারণ ফ্লাইটেই দিল্লি থেকে গুয়াহাটিতে নিয়ে আসা হয়। শনিবার মধ্যরাতে সিঙ্গাপুর থেকে দেহ দিল্লিতে পৌঁছালে মুখ্যমন্ত্রী শর্মা, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্গারিটা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা জানান।
