মালদা – মালদহের নবাবগঞ্জে এক দম্পতির আকস্মিক মৃত্যু এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে। রবিবার পেটে ব্যথা অনুভব করায় ৭২ বছর বয়সী উমাশঙ্কর পালকে দ্রুত মৌলপুর গ্রামীণ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দেহ বাড়িতে আনার পর স্বামীর মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে ৬৫ বছর বয়সী স্ত্রী জয়ন্তী পালও ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। উমাশঙ্করবাবু রেলস্টেশনে চায়ের দোকানে কাজ করতেন, আর তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ ছিলেন।
দম্পতির ছেলে বাপ্পা পাল জানিয়েছেন, “সকালে বাবার পেটে ব্যথা হয়েছিল। মা বাবাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছানোর পর বাবাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাবার দেহ ফিরিয়ে আনার পর মা কেমন যেন হয়ে যান। তারপরই মাও মারা যান।”
পরিবার ও প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল, তাই মৃত্যুও তাঁদের আলাদা করতে পারেনি। শ্মশানে একসঙ্গে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। ঘণ্টা চারেকের ব্যবধানে এই দম্পতির পরপর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার মানুষরা শোকাহত।
