মালদা – চাঁচলের পুজো মহল উত্তাল। দুর্গাপুজোর অনুমতি ঘিরে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। মালদার চাঁচলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটে যায় এক অভূতপূর্ব ঘটনা।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। তবে অনুমোদন না মেলায় বিপাকে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। চাঁচলের বিবেকানন্দ স্মৃতি সমিতির পুজোকে কেন্দ্র করেই দেখা দিয়েছে এই অচলাবস্থা।
চাঁচলে এই পুজোটি বহুদিন ধরে ‘বিগ বাজেট’ পুজো হিসেবে পরিচিত। শোভা, আড়ম্বর ও বিশাল মণ্ডপ সাজসজ্জায় এলাকাজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এই সমিতি।
তবে অভিযোগ উঠছে, গত বছর থেকেই বিঘ্ন সৃষ্টি করছে চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের বিডিও থিনলে ফুন্টসক ভুটিয়া। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, তাঁর আমলেই শুরু হয়েছে সমস্যার সূত্রপাত।
এ বছরেও একই পরিস্থিতি। পুজোর অনুমতি দিতে নারাজ বিডিও। মঙ্গলবার অনুমোদনের দাবিতে উদ্যোক্তারা বিডিও দপ্তরে উপস্থিত হন।
পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উদ্যোক্তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিডিওকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভ ঘিরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। উপস্থিত কর্মকর্তাদের মধ্যেও সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা।
উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, জায়গাটি সরকারি বলে দাবি করছেন প্রশাসন। তাই অনুমোদন আটকে রাখা হয়েছে।
তবে উদ্যোক্তাদের দাবি একেবারেই ভিন্ন। তাঁদের বক্তব্য, ওই জায়গায় প্রায় ৫০ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে।
তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, এত বছর কোনো বাধা হয়নি, হঠাৎ কেন এখন প্রশাসন বাধা দিচ্ছে।
উদ্যোক্তাদের সাফ কথা, “এটা ধর্মীয় উৎসব, মানুষজনের অনুভূতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। ক’জন প্রশাসনিক আধিকারিক এসে তা বন্ধ করতে পারেন না।”
এদিকে পুজো নিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যেও দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। বহু মানুষ বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে দাবি করছেন।
যদিও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের বিডিও থিনলে ফুন্টসক ভুটিয়া। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি নীরবতা বজায় রেখেছেন।
