কলকাতা – কলকাতায় মঙ্গলবার রাতের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে উঠে, কোমর অবধি জল জমে যায়। ভোররাত থেকে টানা বৃষ্টির কারণে বাড়ি থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও, দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর ও নরেন্দ্রপুরে আরও দুই যুবকের প্রাণ যায়, ফলে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ জনে।
ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দায়ভার নেবার জন্য সিইএসসি-কে নির্দেশ দেন। তিনি জানান, এই মৃত্যুর জন্য মূল দায়ী সিইএসসি এবং তারা জরুরি ভিত্তিতে কর্মীদের নামিয়েছে। পাশাপাশি তিনি মৃতদের পরিবারের জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরির ব্যবস্থা করার দাবি করেন। রাজ্য সরকারও একই সঙ্গে পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করে।
প্রথমে সিইএসসি নিহতদের দায় স্বীকার করেনি। এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ দাবি করেছিলেন, মৃত ৮ জনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু তাদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে, ২ জন বিদ্যুতের খুঁটিতে এবং ১ জন ট্রাফিক কিয়স্ক থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হয়। খোলা তার রাখার অভিযোগও তারা অস্বীকার করেছিলেন। তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গি বদলায় এবং তারা মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে, প্রাথমিকভাবে দায় এড়াতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক চাপের মুখে সিইএসসি দায় স্বীকার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পথে অগ্রসর হয়।
