হুগলি – উৎসবের আবহে ফের প্রকাশ্যে এল শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শুক্রবার সন্ধ্যায় হুগলির গোঘাট থানার কুমারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাকলা গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একাধিক ব্যক্তি আহত হন। ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল কর্মী শেখ ইলিয়াস এবং বুথ সভাপতি মীর হানিফের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজায়গা নিয়ে বিবাদ চলছিল। এ দিন ইলিয়াসের বাড়ি নির্মাণকাজ চলাকালীন হানিফের অনুগামীরা সেখানে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ধারাল অস্ত্র ও বাঁশ নিয়ে হামলা চালানো হয়, দাবি করেছেন ইলিয়াস পরিবার।
অন্যদিকে, পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন মীর হানিফ। তাঁর বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ইলিয়াস বাড়ি তৈরি করছিলেন। তাঁরা বাধা দিতে গেলে উল্টে তাঁদেরই মারধর করা হয়। ফলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বহুজন জখম হন। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় গোঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই গ্রামে অশান্তি ছড়িয়েছে। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক দোলন দাস অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল সাংসদের গ্রুপ আর ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই, আর আবাস যোজনার বাড়ি তার অজুহাত মাত্র।”
যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, পুরো ঘটনাই পারিবারিক বিবাদের ফল। তবে উৎসবের সময়ে এ ধরনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে শাসক দলের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁদের মতে, পরিস্থিতির জন্য দায়ী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
