রাজ্য – ইরাকে কাজ করতে গিয়ে বিপদের মুখে পড়েছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযোগ, প্রায় আট মাস ধরে তারা সেখানে আটকে রয়েছেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, নিয়মিত বেতনও দেওয়া হচ্ছে না, ঠিকমতো খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেই। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বাড়ি ফেরার কথা বললেই তাদের মারধর করা হচ্ছে।
আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে নামখানা এলাকার একাধিক জন রয়েছেন। তারা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দ্রুত বাড়ি ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হতেই শুরু হয়েছে শোরগোল। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা থেকেও বহু শ্রমিক ইরাকে আটকে রয়েছেন। খাওয়া-দাওয়া নেই, চিকিৎসা নেই, তার উপর বারবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা। শ্রমিকদের কথায়, “আমাদের এখান থেকে না নিলে বাঁচা দুষ্কর হয়ে দাঁড়াবে।”
এ প্রসঙ্গে সুন্দরবন পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রককে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও বহু ভারতীয় শ্রমিক ইরাকে গিয়ে অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন অসাধু এজেন্সি শ্রমিকদের লোভ দেখিয়ে সেখানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক কাজ করায়, বেতন দেয় না, এমনকি মুক্তিও দেয় না। অতীতে বহুবার এই অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। তবুও অধিক মুনাফার আশায় গরিব মানুষজন বিপদের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।
বর্তমানে ওই শ্রমিকদের পরিবার চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দ্রুত তাদের দেশে ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন।
