সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ভারত জিতল এশিয়া কাপ ফাইনাল, পাকিস্তানকে হারিয়ে আলোচনায়

সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ভারত জিতল এশিয়া কাপ ফাইনাল, পাকিস্তানকে হারিয়ে আলোচনায়

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

খেলা – এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলার পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্ব, টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে এই জয়ের মর্যাদা আরও বেড়ে গেছে। ম্যাচের পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সূর্যকুমার খুলেছেন চাপের মুহূর্ত, তাঁর ভাবনা এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘হ্যান্ডশেক না করার’ সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ।

ফাইনালের সময় মাঠে থাকা অবস্থায়ও তিনি নিজেকে অস্বস্তিতে অনুভব করছিলেন। তিনি বলেন, “৮–৯ ওভারের পর আমি ড্রেসিংরুমে ঢুকে পড়ি। বাইরে বসে ম্যাচ দেখতে পারছিলাম না। কখনও এদিক, কখনও ওদিক হাঁটছিলাম। হৃদস্পন্দন যেন ১৫০ ছাড়িয়ে যাচ্ছিল।” ব্যাট হাতে তিলক বর্মা ও সঞ্জু স্যামসনের জুটি খেলার সময় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন। পরে শিবম দুবের ব্যাটিং নিশ্চিত করেছিল জয় আসবেই।

সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল পাকিস্তান দলের সঙ্গে হাত না মেলানোর সিদ্ধান্ত। সূর্যকুমার জানান, “দেশের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। খেলাধুলার শিষ্টাচার গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু জীবনে কিছু বিষয় এর থেকেও বড়। আমরা একবার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটাই মানা উচিত।” শুধু তিনি নয়, দলের বাকি খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফও একই মত পোষণ করেছিলেন, তাই গোটা দলই পাকিস্তান দলের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেনি। ভবিষ্যতে এই প্রবণতা চালু হবে কিনা তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

সাক্ষাৎকারে বারবার কোচ গৌতম গম্ভীরের ভূমিকাও উঠে এসেছে। সূর্যকুমার বলেন, “গম্ভীর ভাই আড়ালে থেকে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে সাহায্য করেন। ফাইনালে তিনি শিবম দুবেকে নতুন বলে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যা কার্যকর হয়।” গম্ভীর খেলোয়াড়দের মানসিক প্রস্তুতির দিকটিও ভালোভাবে দেখেন। সূর্যকুমার উল্লেখ করেন, তিলক বর্মাকে গম্ভীর বার্তা দিয়েছিলেন, “কেবল উইকেটে থাকো, কাজ হয়ে যাবে।” অভিষেক শর্মাকে বলা হয়েছিল নিজের খেলার ধাঁচ পরিবর্তন না করতে।

ব্যক্তিগত ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সূর্যকুমার জানান, “আমার শুরুটা হচ্ছে, কিন্তু বড় রান আসছে না। এটা ফর্মের সমস্যা নয়। অধিনায়কত্বের চাপে খেলায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না।”

ফাইনালের আসল টার্নিং পয়েন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, পাকিস্তানের ইনিংসে ১২–১৩ ওভারে স্কোর ছিল ১১৩/১। ভারতীয় বোলাররা তাদের ১৪৬ রানে অল আউট করে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়। এরপর তিলক, সঞ্জু ও দুবের ব্যাটিং জুটি জয় নিশ্চিত করে।

যদিও ভারতীয় দল ট্রফি হাতে নিতে পারেনি, তবু সাজঘরে নিজেদের মতো উদযাপন করেছেন। সূর্যকুমার হাস্যরসের সঙ্গে বলেন, “আমরা সবাই মিলে এআই ট্রফি বানালাম। কাপ না পেলেও ক্রিকেটে আমরা যা করেছি, সেটাই প্রকৃত পুরস্কার।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top