প্রধানমন্ত্রী – কংগ্রেস ও বিরোধীদের সমালোচনার পাল্টা সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, আয়কর এবং জিএসটি নিয়ে কংগ্রেস মিথ্যা প্রচারণা করছে। দিল্লির বিজেপি অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক সমাবেশে তিনি কংগ্রেসের আমলের আয়কর ব্যবস্থা এবং বর্তমানের তুলনা করে বলেন, ২০১৪ সালের আগে ১ লক্ষ টাকা খরচ করা পরিবারের প্রায় ২৫,০০০ টাকা কর দিতে হত, ২ লক্ষ টাকার বেশি আয়ের ওপর কর প্রযোজ্য হত। এখন ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর কোনো কর নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ‘রায় বাহাদুর’রা প্রতিদিন মিথ্যা বলার ওস্তাদ। আমি তাদের মুখোশ খুলে দিচ্ছি। ২০১৪ সালের আগে দেশে আয়করের অবস্থা কেমন ছিল, সেটা সকলের জানা উচিত। ২ লক্ষ টাকার বেশি আয়ের ওপর কর বসত, আজ ১২ লক্ষ পর্যন্ত আয়কর শূন্য। পণ্য ও পরিষেবার করেও একই অবস্থা ছিল।”
মোদী পুরনো কর কাঠামোর তুলনায় বর্তমান সুবিধা তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এখন ১ লক্ষ টাকা খরচের পরিবারকে মাত্র ৫,০০০–৬,০০০ টাকা কর দিতে হয়। ২০১৭ সালে জিএসটি চালুর পর জিনিসপত্রের দাম কমেছে এবং করও হ্রাস পেয়েছে। নেক্সট জেনারেশন জিএসটি সংস্কারের ফলে পরিবারগুলো বছরে প্রায় ২০,০০০ টাকা সাশ্রয় করতে পারছে। আয়কর এবং জিএসটির সাশ্রয় একত্রিত করলে দেশের মানুষ বছরে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা বাঁচাতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের আক্রমণ আরও তীব্র করেছেন। তিনি কংগ্রেস-শাসিত হিমাচল প্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্র জিএসটির দাম কমানোর পর তারা জনগণের প্রাপ্য সুবিধা লুট করছে। তিনি বলেন, “বিরোধীরা যা বলে, তার উল্টো করছে। আমরা জিএসটির দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গেই তারা হিমাচলে সিমেন্টের দাম বাড়িয়ে নিজেদের কোষাগার ভরছে।”
মোদী আরও বলেন, নেক্সট জেনারেশন জিএসটি রিফান্ডের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। দোকানদার এবং গ্রাহকরা সচেতন হবে, আর যেখানে বিরোধী দল ক্ষমতায়, সেখানকার সরকার জিএসটির পূর্ণ সুবিধা জনগণকে দিচ্ছে কিনা তা নজর রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ভারতকে ‘আত্মনির্ভর’ হতে হবে এবং স্বদেশী নীতি গ্রহণ করতে হবে।
