রাজ্য – আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সাগরে তৈরি হওয়া নতুন নিম্নচাপ অঞ্চল আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবেই নবমীর রাত থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ। দশমীর সকালেও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দাপট অব্যাহত। বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া দপ্তরের আপডেট জানাচ্ছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের বহু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি নামতে পারে।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হুগলি, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগের দমকা হাওয়া। কলকাতার আকাশ সারা দিন মেঘলা থাকবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৭ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.২ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি।
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সুস্পষ্ট নিম্নচাপ উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি নিম্নচাপে এবং পরে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। ৩ অক্টোবর ভোরে দক্ষিণ ওড়িশা-উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনাও রয়েছে। এর জেরে ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলার বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সমুদ্রও উত্তাল থাকবে, তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
২ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়ার কিছু অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হুগলি, কলকাতা, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায়ও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও একই পরিস্থিতি। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের বিক্ষিপ্ত অংশে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়াতেও ভারী বর্ষণ নামতে পারে। ৪ অক্টোবর বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
