জলপাইগুড়ি – হড়পা বানের আশঙ্কায় দশমীর দিনে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে মাল নদীতে। প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে মোতায়েন করা হয়েছে বিসর্জন ঘাটে, সঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরাও। হাইড্রার সাহায্যে চলছে প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ, যাতে কেউ নদীতে নামতে না পারে।
২০২২ সালে বিসর্জনের দিন মাল নদীতে হঠাৎ হড়পা বান নেমে আসে। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রায় আটজনের। এরপর থেকেই এই নদীতে বিসর্জনের সময় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এবছরও দশমীর আগেই ফের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নবমীর দিন আচমকাই মাল নদীতে নেমে আসে হড়পা বান। বিসর্জন ঘাটে কর্মরত কর্মীরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। সেই ঘটনার পর থেকেই জেলা প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়।
দশমীর দিন দুপুরে আবারও পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে মাল নদীতে নেমে আসে হড়পা বান। এর পরই প্রশাসনের তরফে নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিন দিন পাহাড়ি অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে যেকোনও সময় হড়পা বান নেমে আসতে পারে, যা সঙ্গে সঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে যায় চারপাশের সবকিছু। তাই এবছর দুর্গোৎসবের শেষ পর্বে সতর্কতাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে প্রশাসন।
