উত্তরবঙ্গ – নাগরাকাটা-হাসিমারার পর মঙ্গলবার মিরিতে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মিরিকের বিস্তীর্ণ বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন এবং সেখানে চলমান উদ্ধারকাজের তদারকিও করবেন। জানা গেছে, মিরিক ও নাগরাকাটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে মিরিকের সৌরেনী গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ভেসে গেছে একাধিক ঘরবাড়ি এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। সৌরেনী গ্রামের একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘর থেকে চারজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ১০–১৫ জন মানুষ বসবাস করতেন। উদ্ধারকারীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ হাসপাতাল বা ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে ৭–৮ জন গুরুতর অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। সোমবার সকালে পর্যটকদের পে-লোডারে করে হলং নদী পার করা হয়।
সোমবার নাগরাকাটায় পৌঁছানোর পর মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণশিবিরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের জন্য একাধিক আশ্বাসও দিয়েছেন। মৃতদের পরিবারের হাতে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, তাদের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ পুলিশ ও জেলাশাসকদের দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হোমগার্ডের চাকরির প্রস্তাবও দিয়েছেন মৃতদের পরিবারের একজনের জন্য। এভাবে, উত্তরবঙ্গের এই বিপর্যস্ত অঞ্চলে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি নজরদারি এবং ত্রাণ কার্যক্রম নিশ্চিত করছেন, যাতে দ্রুত সহায়তা পৌঁছানো যায় এবং পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়।
