দক্ষিন 24 পরগণা – চাঞ্চল্যকর ঘটনায় স্তব্ধ কুলতলির পশ্চিম দেবীপুর এলাকা। টিউশন থেকে ফিরে মা-বাবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করেছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রিয়া দাস। এরপর বিশ্রাম নিতে নিজের ঘরে যায় সে। কিছুক্ষণ পেরিয়ে গেলেও কোনও সাড়া না মেলায় সন্দেহ জাগে পরিবারের সদস্যদের মনে। বারবার ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই স্তম্ভিত হয়ে যান সবাই—ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় বছর তেরোর রিয়াকে।
তড়িঘড়ি তাঁকে কুলতলি ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। মুহূর্তে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে এমন প্রাণবন্ত এক মেয়ে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
রিয়ার পরিবারও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। কী কারণে মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিল, তা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিবারে কোনও বিবাদ, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সমস্যা, কিংবা অন্য কোনও মানসিক চাপ—সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
রিয়া দেবীপুর এইচএম বিদ্যাপীঠের ছাত্রী ছিল। স্কুলেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষক ও সহপাঠীরা কেউই তার হঠাৎ চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই কুলতলি থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মেয়েটির অকাল মৃত্যু ঘিরে শোক ও রহস্যে ডুবে রয়েছে গোটা দেবীপুর।
