বিহার – বিহারের নালন্দা জেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় স্ত্রীর আপত্তি সহ্য করতে না পেরে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে খুন করল স্বামী। অভিযুক্তের নাম বিকাশ কুমার। পাঁচ বছর আগে সুনীতা দেবী (২৫)-র সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পরই সুনীতা জানতে পারেন, বিকাশের আগেও একটি বিয়ে রয়েছে এবং প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্সও দেয়নি। সেসময় বিয়ে ভাঙতে চাইলেও বিকাশের পরিবার তাঁকে নানা ভাবে বোঝায়। শেষ পর্যন্ত থেকে যান সুনীতা।
বিয়ের পর তাঁদের দুটি সন্তান হয়, তবে কেউই বাঁচেনি। সময় গড়াতে গড়াতে বিকাশের জীবনে আসে অন্য এক নারী। প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় তার। বিকাশ প্রকাশ্যে জানায়, সে প্রেমিকাকেও বিয়ে করে ঘরে আনতে চায়। এই প্রস্তাব শুনেই তীব্র আপত্তি জানান সুনীতা। তারপর থেকেই শুরু হয় দাম্পত্যে অশান্তি।
দুর্গাপুজোর ঠিক আগে বিকাশ স্ত্রীর বাপের বাড়িতে গিয়ে অনুরোধ করে যে সে যেন আবার ফিরে আসে—ভুল আর করবে না বলে আশ্বাস দেয়। সেই কথা বিশ্বাস করে সুনীতা আবার স্বামীর বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু শনিবার গভীর রাতে (১১ অক্টোবর) ঘটল ভয়াবহ কাণ্ড। রাত একটা নাগাদ সুনীতার ভাইয়ের কাছে ফোন আসে। কাঁপা গলায় সুনীতা জানান, বিকাশ তাঁর গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়েছে এবং রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার খুলে ঘরে গ্যাস ছেড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই ফোন বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা, কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় সুনীতার। পরিবারের দাবি, তাঁদের আসার আগেই বিকাশ ও তার পরিবার সুনীতার দেহ মাটিতে কবর দেওয়ার চেষ্টা করছিল। পরিবারের লোকজনকে আসতে দেখে পালিয়ে যায় তারা।
পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে এবং ফরেন্সিক টিম নমুনা সংগ্রহ করে। ময়নাতদন্তের পর সুনীতার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বিকাশ কুমার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
