রাজ্য – প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে এখনো চলছে উদ্ধার ও পুনর্গঠনের কাজ। প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় তোর্সা নদীর জলে ভেসে জাতীয় উদ্যানের পশুরা লোকালয়ে চলে এসেছিল। সোমবার কোচবিহারের পাতলাখাওয়া বনাঞ্চল থেকে আরও দুটি গন্ডারকে উদ্ধার করে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। জলদাপাড়া থেকে ভেসে যাওয়া এই গন্ডারদুটি ৫ অক্টোবর থেকে এক ছোট বনে আটকে ছিল। বনকর্মীদের দক্ষতায় এবং পরিকল্পিত অভিযানে অবশেষে তাদের নিরাপদে উদ্ধার সম্ভব হয়।
জলদাপাড়ার ডিএফও পরভীন কাশওয়ান বলেন, “এ ধরনের জটিল ও সংবেদনশীল উদ্ধার অভিযান কেবল জলদাপাড়ার অভিজ্ঞ বন্যপ্রাণী দলের দক্ষতার কারণেই সম্ভব হয়েছে। বন দফতরের কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে প্রাণীদের সনাক্ত করে নিরাপদে প্রাকৃতিক আবাসে ফিরিয়ে এনেছেন।” তিনি আরও জানান, দুটি গন্ডারই আপাতত সুস্থ আছে, তবে সতর্কতার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যার পর আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট আটটি গন্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। বন দফতর এখনও অনুসন্ধান চালাচ্ছে, আরও কোনও গন্ডার বা বন্যপ্রাণী বিপদে আছে কি না তা জানার জন্য।
৫ অক্টোবরের প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল উত্তরবঙ্গ। প্রাণ হারান ২৮ জন মানুষ, মারা যায় বহু গবাদি পশুও। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পৌঁছে যান রাজনৈতিক নেতারা—ঘটনার পরদিনই উত্তরবঙ্গে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখছেন এবং নিজ হাতে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করছেন। বন দফতরও সতর্ক নজর রাখছে যাতে কোনও বন্যপ্রাণী লোকালয়ে থেকে না যায় এবং নিরাপদে তাদের ফেরানো যায়।
