রাজ্য – দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ক্রমেই নিম্নমুখী। সকাল-সন্ধ্যার বাতাসে হালকা হিমেল ছোঁয়া যেন জানিয়ে দিচ্ছে, শীত একেবারে দোরগোড়ায়। তবে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে এখনও দেরি আছে— এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের কর্তাদের মতে, চলতি বছরের মতো রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পুরোপুরি সরে গেছে, ফলে এখন হালকা শীতের অনুভূতি মিলছে সকাল ও সন্ধ্যায়।
তবে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দুর্যোগের সম্ভাবনা কিন্তু এখনই শেষ নয়। সাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে, যা থেকে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। ওয়েদার ফোরকাস্ট সিস্টেমের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৫ অক্টোবর ভোরের দিকে দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ইন্দিরা পয়েন্ট সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি অতিশক্তিশালী নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ২৭ অক্টোবর নাগাদ সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে তামিলনাড়ুর উপকূলের দিকে এগোতে পারে। এমনকি গোপালপুরের কাছেও এর ল্যান্ডফলের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এখনই বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
এদিকে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নেমেছে। উত্তরবঙ্গে কোথাও হালকা বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে আপাতত আকাশ পরিষ্কার। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ বা নভেম্বরের শুরুতেই তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামবে বলে পূর্বাভাস মিলছে। বিশেষত নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও উত্তর ২৪ পরগনায় আগামী কয়েকদিন সকালে ঘন কুয়াশার দাপট বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, চলতি বছরের অতিবর্ষার মতোই এবারের শীতও তুলনামূলক বেশি কড়া হতে পারে। তবে আপাতত হালকা শীতের আমেজেই মেতে উঠবে দক্ষিণবঙ্গ।
