বিহার -আনন্দপুরের এক ফ্ল্যাটে ঝাড়খণ্ডের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরই সহপাঠী এক যুবককে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার তাকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনন্দপুরের ওই ফ্ল্যাটে এক বান্ধবীর সঙ্গে ভাড়া থাকতেন ২১ বছরের তরুণী। ২৬ সেপ্টেম্বর ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন তিনি। ফ্ল্যাটে তখন একাই ছিলেন তাঁর রুমমেট। ভোরে বাড়ি ফিরে পরদিন সকালে বান্ধবী তার এক বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরেই সেই বন্ধুই, অর্থাৎ অভিযুক্ত যুবক, ফ্ল্যাটে এসে জানায় যে বান্ধবী কিছু জিনিস ফেলে গিয়েছেন, সেগুলি নিতে এসেছে। সন্দেহ না করেই দরজা খুলে দেন তরুণী।
এরপর যুবক তাঁকে জোর করে কিছু খাবার খাওয়ায়, যাতে মাদক মেশানো ছিল বলে অভিযোগ। অচেতন হয়ে পড়েন তরুণী, এবং সেই সুযোগে যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে। জ্ঞান ফেরার পর ভয় দেখিয়ে ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর হুমকি দেয় সে।
৪ অক্টোবর আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। মেডিক্যাল পরীক্ষায় যৌন হেনস্থার প্রমাণ মেলে। অভিযুক্ত যুবককে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ এবং অবশেষে মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, ধর্ষণের পর ওই যুবক তরুণীকে জোর করে ঝাড়খণ্ডের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে পরিবারকে জানালে তাঁরাই থানার দ্বারস্থ হন।
এর আগেই দুর্গাপুরের এক বেসরকারি কলেজের মেডিক্যাল পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য। সেখানেও নির্যাতিতার এক সহপাঠীর নাম উঠে আসে সন্দেহের তালিকায়। শেষমেশ তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
