কলকাতা – হাড়োয়া বিধানসভা জুড়ে ফের তোলাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগে উত্তপ্ত রাজনীতি। রাতের অন্ধকারে একাধিক পোস্টার ও লিফলেট ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পোস্টারগুলিতে সরাসরি তৃণমূল বিধায়ক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্লক সভাপতি পদে নাম পাঠানোর জন্য অর্থ লেনদেন হয়েছে বিধায়কের নাম করেই।
পোস্টারগুলিতে লেখা হয়েছে, “লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ব্লক সভাপতি নাম পাঠানো হয়েছে হাড়োয়ার বিধায়ক রবিউল ইসলামের নাম করেই।” আরও এক পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, “আইপ্যাকের দেব ও অর্পণ চৌধুরী, যারা অভিষেক ব্যানার্জির অফিস স্টাফ হিসেবে কাজ করেন, তাঁরা দেগঙ্গা ব্লক ২ ও বারাসাত ব্লক ২–এর ব্লক সভাপতি করার জন্য সুব্রত বসু কৃষ্ণ ও মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে বিধায়ক রবিউলের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।”
পোস্টারের নিচে ‘তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ’-এর নাম থাকায় বিষয়টি আরও বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। অন্য এক পোস্টারে সরাসরি প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “অভিষেক ব্যানার্জির নাম ভাঙিয়ে আইপ্যাকের স্টাফরা কেন টাকা নিল? বিধায়ক রবিউল ইসলাম, তুমি জবাব দাও।”
এই পোস্টারবাজির জেরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় ব্লক সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও প্রকট হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। দেগঙ্গা ব্লক ২ ও হাড়োয়া ব্লক ২–এর সভাপতির পদ নিয়ে ইতিমধ্যেই টানাপোড়েন চলছিল। পোস্টার কাণ্ডের পর সেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই কে হবেন নতুন সভাপতি, কে “নেতাদের ঘনিষ্ঠ” — তা নিয়ে অন্দরে চাপানউতোর চলছিল। আর সেই প্রেক্ষিতেই রাতারাতি ছড়িয়ে পড়েছে এই পোস্টার ও লিফলেট।
