রাজ্য -দুর্গাপুজোয় যেমন বহু ক্লাব সরকারি অনুদান পায় এবং দশমীর পর শহরে আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য কার্নিভাল, তেমনই এবার কালীপুজোতেও কার্নিভাল আয়োজনের দাবি উঠেছে। পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে সম্প্রতি একাধিক আর্জি জানানো হয়েছে এই বিষয়ে। বুধবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা কালীপুজোকে কেন্দ্র করে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা, সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ, পুরসভা ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা।
বৈঠকে মূলত কালীপুজো কীভাবে শৃঙ্খলার মধ্যে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়। উদ্যোক্তাদের দাবি ছিল, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও কার্নিভাল আয়োজন করা হোক। পাশাপাশি তাঁরা আবেদন জানান, যেমন দুর্গাপুজোয় বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়া হয়, কালীপুজোতেও সেই সুবিধা দেওয়া হোক।
বৈঠকের পর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা স্পষ্ট জানান, শুধুমাত্র ‘গ্রিন বাজি’র অনুমতি থাকবে। নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি বা ব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, দমকল বিভাগের ২০১৯ সালের নির্দেশিকা অনুযায়ী ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, এবং পুজোর সময়ে ডিজে ব্যবহার করা যাবে না।
প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২১ থেকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে শহরের সমস্ত প্রতিমা নিরঞ্জন সম্পন্ন করতে হবে। এই সময় নিয়ম মেনে চলতে হবে প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কালীপুজোর আয়োজন হয় কলকাতায়, তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবদিক পর্যালোচনা করে কঠোর গাইডলাইন নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও কালীপুজোয় কার্নিভাল হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা করেননি সিপি মনোজ ভার্মা।
