রাজ্য – দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঢুকছে শুষ্ক ও শীতল বাতাস। বিপরীতধর্মী এই দুই বায়ু স্রোতের সংঘাতে কালীপুজোর ঠিক মুখে বাংলার ছয়টি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফলে এই হঠাৎ বৃষ্টির কারণ নিয়ে কৌতূহল বেড়েছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের মধ্যে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই মোটের ওপর শুকনো আবহাওয়া বিরাজ করবে। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল, উত্তর ২৪ পরগনার কিছু জায়গা এবং উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের অধিকাংশ অঞ্চল থেকেই বর্ষা বিদায় নিয়েছে, কিন্তু কেরালা, তামিলনাডু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা ও কর্নাটকের কিছু অংশে এখনও মৌসুমি বায়ুর প্রভাব রয়ে গেছে। এই আবহাওয়ার মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন ভারত মহাসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, যা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন, নিম্নচাপটি বাংলা থেকে এতটাই দূরে গঠিত হবে যে রাজ্যের আবহাওয়ায় তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না।
তাহলে প্রশ্ন উঠছে, বর্ষা বিদায়ের পরেও কেন বৃষ্টি হবে? আবহবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বিদায়ী মৌসুমি বায়ুর অবশিষ্ট জলীয় বাষ্প দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেই জলীয় বাষ্প যখন উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে আসা শুষ্ক ও ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসছে, তখনই তা ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টির উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
তবে আশঙ্কার কিছু নেই, কারণ বৃষ্টির তীব্রতা খুব বেশি হবে না। কলকাতার আকাশে কিছু মেঘ দেখা গেলেও দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় আকাশ থাকবে পরিষ্কার। কেবল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
