রাজ্য – পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্রচারমূলক লড়াই শুধু মাঠে-ময়দানে সীমাবদ্ধ থাকছে না; বরং ডিজিটাল দুনিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়াতেও তা তীব্র হচ্ছে। রাজ্যের প্রধান দুই দল—তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি—উভয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ওপর জোর দিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা’ কর্মসূচি শুরু করেছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের শক্তি বাড়াতে চাইছে।
অন্যদিকে বিজেপি আগামী সপ্তাহে সায়েন্স সিটিতে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে, যেখানে রাজ্যের সোশ্যাল মিডিয়া দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠক করবেন। বৃহস্পতিবার ইতিমধ্যেই অমিত মালব্য, বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক এবং আইটি সেলের ইনচার্জ, রাজ্যস্তরের সোশ্যাল মিডিয়া নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের দুর্নীতি ও সমস্যার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী হিসেবে তুলে ধরতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্যা, ধর্ষণ, চাকরি চুরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করতে হবে।
বিজেপির নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী প্রজন্মের কথা ভেবে তৃণমূলকে হারানো জরুরি। পাশাপাশি এই নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে ‘ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের অবসান’ বার্তাও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে। তৃণমূলও অভিষেকের উদ্যোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় শক্তভাবে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের সময় যত এগোবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক লড়াই আরও তীব্র হবে। মঞ্চ-উপস্থিতি, গণসংযোগ ও প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি হবে দুই পক্ষের মূল শক্তি। নির্বাচনী প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব ক্রমশ বেড়েই চলেছে, এবং এই লড়াইয়ে কোন দল কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে, সেটাই আগামী কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক দিকনির্দেশক হবে।
