প্রয়াগরাজে প্রকাশ্যে খুন সাংবাদিক, যোগীরাজ্যে ফের প্রশ্ন বাকস্বাধীনতা নিয়ে

প্রয়াগরাজে প্রকাশ্যে খুন সাংবাদিক, যোগীরাজ্যে ফের প্রশ্ন বাকস্বাধীনতা নিয়ে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



দেশ – যোগীরাজ্যে ফের রক্তাক্ত হল বাকস্বাধীনতা। প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হল এক সাংবাদিককে। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় প্রয়াগরাজের এক হোটেলের সামনে আচমকাই দুষ্কৃতীদের হামলায় প্রাণ হারান ওই সাংবাদিক। একাধিকবার ছুরি চালানো হয় তাঁর শরীরে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত সাংবাদিকের নাম লক্ষ্মী নারায়ণ সিং, ওরফে পাপ্পু। বয়স ৫৪ বছর। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তিনি প্রয়াগরাজের সিভিল লাইনস এলাকার হোটেল হর্ষের সামনে ছিলেন। সেই সময় আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়ে এলোপাথাড়ি ছুরি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে স্বরূপ রানি নেহরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল—চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্তকারীরা এখনও নিশ্চিত নন, কেন পাপ্পুকে খুন করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা না রাজনৈতিক কারণ—তা স্পষ্ট নয়। প্রয়াগরাজ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার পুষ্কর ভার্মা জানিয়েছেন, নিহত সাংবাদিক পাপ্পু হাই কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অশোক সিংয়ের ভাইপো। তিনি বলেন, “খুনের মোটিভ এখনো পরিষ্কার নয়, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পাপ্পুর পরিবার ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, প্রকাশ্যে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটলেও কেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না? তাঁরা খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশের তল্লাশিতে ধরা পড়ে খুনের মূল অভিযুক্ত বিশাল। পালাতে গিয়ে পুলিশের এনকাউন্টারে জড়িয়ে পড়ে সে এবং পায়ে তিনটি গুলি লাগে। বর্তমানে সে হাসপাতালে ভর্তি। এছাড়াও আরও দুই সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

এই ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।


RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top