পশ্চিমবঙ্গেও শুরু এসআইআর প্রক্রিয়া — বুথ লেভেল অফিসারদের জন্য নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকা জারি

পশ্চিমবঙ্গেও শুরু এসআইআর প্রক্রিয়া — বুথ লেভেল অফিসারদের জন্য নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকা জারি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



রাজ্য – বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়ে গেল এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া। গোটা দেশ জুড়ে মোট ১২টি রাজ্যে চালু হচ্ছে এই বিশেষ ভোটার যাচাইকরণ প্রকল্প। ইতিমধ্যেই এনুমারেশন ফর্ম ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) জন্য একগুচ্ছ গাইডলাইন প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। এই নির্দেশাবলি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে সমস্ত বুথ লেভেল অফিসারদের, বিশেষ করে যখন তাঁরা ভোটারদের বাড়িতে যাবেন বা ফর্ম সংগ্রহ করবেন। গোটা এসআইআর প্রক্রিয়াতেই এই নিয়ম কার্যকর থাকবে।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে, প্রতিটি বুথে সংশ্লিষ্ট বিএলও-র নাম ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা থাকবে। সিইও বা জেলাশাসকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও জানা যাবে প্রতিটি বুথের বিএলও-র নাম ও যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য। স্থানীয়ভাবে প্রচার হবে ওই অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বুথ লেভেল অফিসারের নাম। বর্তমান ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই পাঠানো হবে এনুমারেশন ফর্ম। কোনও ভোটারকে বাড়িতে না পেলে, সেই ফর্ম লেটারবক্সে বা দরজার ফাঁকে ঢুকিয়ে রেখে আসতে হবে।

বিএলও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া বিশেষ মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ভোটারদের তথ্য যাচাই করতে পারবেন, যেখানে ভোটারের ইপিক (EPIC) নম্বর দিয়েই ফর্ম সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে — যা বিহারের এসআইআরে ছিল না। ফর্ম সংগ্রহের পর প্রতিটি এনুমারেশন ফর্মে বিএলও-র স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক। ভোটারের কাছে থাকা কপিতেও ওই স্বাক্ষর থাকবে।

যদি কোনও ভোটার ফর্ম জমা না দিতে পারেন, বিএলও একাধিকবার তাঁর বাড়িতে যাবেন। তবে আবেদনকারী চাইলে সরাসরি ইআরও অফিসে ফর্ম জমা দিতে পারবেন। যারা বাইরে আছেন, তাঁরা ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সিইও-র ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। যদি কোনও ভোটার কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, তবে তাঁর পরিবারের সদস্য তাঁর হয়ে স্বাক্ষর করে ফর্ম জমা দিতে পারবেন, তবে আবেদনকারীর নাম ও সম্পর্ক স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

ফর্ম জমা দিলেই নাম উঠবে খসড়া ভোটার তালিকায়, না দিলে সুযোগ থাকবে না। যাঁদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কোনও সংযোগ পাওয়া যায়নি, তাঁদের ইআরও বা এইআরও সাত দিনের মধ্যে শুনানিতে ডাকবেন, যেখানে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি ও আপত্তি শোনার জন্য ৫৪ দিন সময় থাকবে।

৭ ফেব্রুয়ারি ভোটার তালিকা প্রকাশের পর যদি কারও নাম না ওঠে, তবে তিনি জেলাশাসকের কাছে আবেদন করতে পারবেন। যদি আবেদন খারিজ হয়, তবে সিইও-র কাছে পুনরায় আবেদন জানানো যাবে। এমনকি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্তও ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন করা সম্ভব।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top