দুর্বল হলেও ‘মান্থা’র প্রভাব অব্যাহত — পুজোর দিনেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

দুর্বল হলেও ‘মান্থা’র প্রভাব অব্যাহত — পুজোর দিনেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



রাজ্য – ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’ বুধবার সকালে দুর্বল হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও, তার প্রভাব এখনও তীব্র। অন্ধ্রপ্রদেশে দাপট দেখানোর পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব পড়ছে জোরদারভাবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া চলবে। কলকাতাতেও ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’র প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আগামী তিন দিন পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি চলবে। ফলে জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।

বৃহস্পতিবার বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে, সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা। শুক্রবার বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ভারী বর্ষণ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বিক্ষিপ্ত বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি চলবে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রঝড় ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। রবিবার থেকে ধীরে ধীরে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে।

শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও জারি হয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার পার্বত্য জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, শুক্রবার আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গেও আকাশ পরিষ্কার হতে পারে বলে অনুমান।

উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে এবং সমুদ্র উত্তাল থাকবে। তাই ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে, মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হবে। ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে থাকবে, তবে তিন-চার দিন পর তাপমাত্রা আবার কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top