রাজ্য – বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে বারবার রাজনীতি গড়ে উঠেছে দেশে। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, “বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য গোটা দেশের জনবিন্যাসই বদলে গিয়েছে।” সেই বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা যায় প্রায় প্রতিটি বঙ্গ বিজেপি নেতার গলায়। কিন্তু এবার সেই দল থেকেই উঠল এক বিতর্কিত মন্তব্য — বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া তুলে দেওয়া হবে!
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার প্রকাশ্যে বলেছেন, “আমরা যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জিতি, তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে মাঝের এই কাঁটাতার তুলে দেব। এক ছিল, আবার এক হয়ে যাবে।” এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির “দ্বিচারিতা” নিয়ে সরব হন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “এক দিকে তারা অনুপ্রবেশ রুখতে কাঁটাতারের কথা বলে, অন্য দিকে আবার নিজেরাই বলছে কাঁটাতার তুলে দেব। বাংলার মানুষ এসব বুঝে নিচ্ছেন।”
তৃণমূলের দাবি, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ রোধে দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, যা বর্তমানে অমিত শাহের অধীনে। সেই দফতরের ব্যর্থতার ফলেই সীমান্তবর্তী রাজ্য ত্রিপুরা, অসম থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছেন বলে অভিযোগ শাসকদলের। অথচ, এই বাস্তব প্রশ্নে বিজেপি নেতারা নীরব, বরং অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বারবার বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বলেই অভিযোগ তৃণমূলের।
জগন্নাথ সরকারের এই মন্তব্যে বিজেপির অন্দরেও শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। অনেকে বলছেন, এই বক্তব্য দলীয় অবস্থানের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয়। তবে রাজনৈতিক মহল বলছে, সীমান্ত রাজনীতি এবং অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বিজেপির এই অবস্থান তাদের নিজেদের দ্বন্দ্বকেই সামনে এনে দিয়েছে।




















