খেলা – গোলশূন্য ড্রয়ে (০–০) শেষ হল কলকাতার দুই প্রধানের ডার্বি লড়াই। কিন্তু গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকেই সুপার কাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে বিদায় নিতে হল মোহনবাগানকে। ড্র করলেই যেখানে সেমিফাইনালের টিকিট পাবে লাল-হলুদ, সেখানে জয় ছাড়া কোনও উপায় ছিল না সবুজ-মেরুনের। তবুও মাঠে দেখা গেল না সেই আগ্রাসন বা জয়ের তীব্র ইচ্ছা। বিদেশিরা পুরোপুরি ব্যর্থ, কোচ মোলিনার রণকৌশল নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। অন্যদিকে ধীর শুরুর পর অস্কারের কৌশলে জমে ওঠে লাল-হলুদদের খেলা।
ডেম্পো ও চেন্নাইয়িন এফসি ম্যাচ ১–১ গোলে ড্র হওয়ায় দুই প্রধান কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়েই নেমেছিল মাঠে। তবে ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় মোহনবাগানের চাপ ছিল অনেক বেশি। কারণ পয়েন্টে সমান হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল আক্রমণে ঝাঁপায়। প্রথম ১০ মিনিটে পুরো আধিপত্য ছিল তাদেরই। ২৩ মিনিটে বিপিনের হেড পোস্টে লাগে, আর ২৭ মিনিটে মহেশের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। উল্টে মোহনবাগানের আক্রমণ ছিল নিষ্প্রভ — সামনের সারিতে ম্যাকলারেন একা, বারবার অফসাইডের ফাঁদে পড়ে ভুগেছেন তিনি।
প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়। মোহনবাগানের প্রথম একাদশে রবসন ও দিমিত্রি না থাকায় আক্রমণে ধারই ছিল না। পেনিট্রেশন জোনে বল পৌঁছাচ্ছিল না, দুই উইংও ছিল কার্যত অকার্যকর। দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটে সহজতম সুযোগ হাতছাড়া করেন হামিদ। এরপর জয় গুপ্তার হেড বাঁচান গোলরক্ষক বিশাল। কোচ মোলিনা সাহালকে তুলে নামালেন কামিংসকে, কিন্তু আক্রমণে কোনও গতি এল না। শেষদিকে দিমিত্রি, দীপক, রবসনকে নামিয়ে গোল খোঁজার চেষ্টা করলেও সফল হননি।
৭৯ মিনিটে অস্কার জোড়া পরিবর্তন করে বিপিন ও হামিদকে তুলে হিরোসি ও বিষ্ণুকে নামান। ম্যাচের শেষ দিকে রক্ষণ আরও শক্ত করেন তিনি, ফলস্বরূপ মোহনবাগানকে আর সুযোগ দেননি। অবশেষে ০–০ ফলেই শেষ হয় মর্যাদার ডার্বি। ডেম্পো বনাম চেন্নাইয়িন ম্যাচ ড্র হওয়ায় গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকেই গ্রুপ শীর্ষে উঠে সেমিফাইনালে পৌঁছল ইস্টবেঙ্গল। ডেম্পোর বাঙালি গোলরক্ষক নিজের বক্স থেকে গোল করে নজর কেড়েছেন।




















