রাজ্য – বর্ষা বিদায় নিয়েছে। যদিও নিম্নচাপের সামান্য ভ্রূকুটি এখনও রয়েছে, তবুও ভারী বৃষ্টির আর কোনো আশঙ্কা নেই। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ—সব জায়গাতেই ধীরে ধীরে নামছে পারদ, কমছে বাতাসের আর্দ্রতা। অর্থাৎ, শীত যে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে, তা বলাই যায়। গত মরশুমে শীত প্রায় হতাশ করেছিল বঙ্গবাসীকে, তবে এবারে সেই আক্ষেপ মুছবে বলেই আশাবাদী রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যেই ভোরবেলা ও রাতের দিকে শিনশিনে ঠান্ডা ভাব অনুভূত হচ্ছে। যদিও এখনই কম্বল বা লেপের প্রয়োজন পড়ছে না, তবে রাতে পাখা বন্ধ বা গতি কমানোর দরকার হচ্ছে অনেকেরই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রার আরও কিছুটা পতন ঘটবে। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস—স্বাভাবিকের থেকে সামান্য কম। বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গড় মানের চেয়ে প্রায় ১.৩ ডিগ্রি কম। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও হ্রাস পেয়েছে—সর্বাধিক ৯১ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৪৮ শতাংশ। আবহবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামতে পারে এবং আর্দ্রতা কমে ৫০ শতাংশের নিচে নামতে পারে। ফলে সকালে ও রাতে হালকা ঠান্ডার পরিমাণ আরও স্পষ্ট হবে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে শীতের আমেজ অনেক আগেই নেমে এসেছে। দার্জিলিংয়ে রাতের তাপমাত্রা সপ্তাহের শেষে নেমে যেতে পারে ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তরাই ও ডুয়ার্সেও মনোরম আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে সরে গেছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে তার প্রভাব কার্যত নেই। শুধু সুন্দরবন এলাকায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে উল্লেখযোগ্য তাপমাত্রা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
সব মিলিয়ে, রাজ্যে শীতের সূচনা এবার আশাব্যঞ্জক। উত্তুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে, আকাশ পরিষ্কার, আর ধীরে ধীরে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে কাঁথা-কম্বলের মরশুম।



















