কলকাতা – এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তে আরও এক নতুন দিক খুলে যেতে পারে। সিবিআই এবার অভিযুক্তদের মধ্যেই একজন এসএসসি আধিকারিককে রাজসাক্ষী করার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার আলিপুরের সিবিআই বিশেষ আদালতে মামলার বিচারপর্বে এই প্রসঙ্গটি উঠে আসে। এর আগে একই মামলার অন্য শাখায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই রাজসাক্ষী হয়েছিলেন। এবার সিবিআইয়ের তদন্তেও একই পদক্ষেপের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আদালতে বিচারক সরাসরি প্রশ্ন করেন, “সমরজিৎ আচার্যকে কি রাজসাক্ষী করবেন?” জবাবে সিবিআইয়ের বিশেষ আইনজীবী জানান, “দেখছি।” সূত্রের খবর, এসএসসির আধিকারিক সমরজিৎ আচার্য এই মামলায় অভিযুক্ত হলেও তদন্তের স্বার্থে তাঁকে রাজসাক্ষী করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিন আদালতে অষ্টম সাক্ষী হিসেবে হাজির হন এসএসসির এক আধিকারিক, যিনি কম্পিউটার অপারেটরদের সুপারভাইজার ছিলেন। তিনি জানান, এজেন্ট প্রদীপ সিংকে তিনি ‘ছোট্ট’ নামে চিনতেন। প্রদীপ, যিনি প্রসন্ন রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, সমরজিৎ আচার্যকে প্রার্থীদের তালিকা ই-মেল করতেন। পরে সমরজিৎ সেই তালিকা ফের পাঠাতেন ওই সাক্ষীর কাছে। আদালতে সেই তালিকা সাক্ষীকে দেখানো হয়।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, নিয়োগপত্র বিলির দিন এসএসসির প্রাক্তন কর্তা শান্তিপ্রসাদ সিংহ সাক্ষীদের প্রদীপ সিংয়ের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন এবং নির্দেশ দেন, “চাকরিপ্রার্থীদের কোনও সমস্যা হলে প্রদীপ বা ছোটুকে ফোন করো।” এই যোগাযোগের মাধ্যমেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির জাল আরও গভীর হয়েছে বলে সন্দেহ করছে তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে, মামলার সাক্ষ্যদান প্রক্রিয়া সোমবার পর্যন্ত চলবে। এরপর আদালতের নির্দেশে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন বা মুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং মুক্তি পেলে বাড়িতেই ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।




















