বীরভূম – বীরভূমের লাভপুরে ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। মৃতের নাম আব্দুল রহমান মল্লিক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লাভপুরের কুসুমগড়িয়া গ্রামে বুধবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, একটি পরিবারের ছাগল অপর পরিবারের জমির ধান খেয়ে ফেলে। সেই নিয়েই শুরু হয় কথা কাটাকাটি, যা ক্রমে রূপ নেয় হাতাহাতি ও লাঠি-রডের সংঘর্ষে।
সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে লাভপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বোলপুর SDPO-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গ্রামে মোতায়েন করা হয়। আহতদের সিউড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হলে, সেখানে আব্দুল রহমান মল্লিকের মৃত্যু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামজুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার সকাল থেকে কুসুমগড়িয়া গ্রামে কড়া পুলিশি নজরদারি চলছে যাতে নতুন করে অশান্তি না ছড়ায়।
মৃতের ছেলে কনক মল্লিক অভিযোগ করেন, “আমার বাবার জমিতে ছাগল ধান খেয়েছিল। বাবা প্রতিবাদ করতে গেলে আব্দুল মান্নান তাকে হুমকি দিয়েছিল— মেরে ফেলবে বলে। শেষমেশ সেই কথাই সত্যি হল। রড আর শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে বাবাকে খুন করেছে।” পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিং। তাঁর বক্তব্য, “ওই গ্রামের সবাই তৃণমূল কর্মী। এটা রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়, জমিতে ধান খাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ব্যক্তিগত বিবাদের জেরেই এই ঘটনা।”




















