বিহার – বিহারের গোপালগঞ্জে রবিবার সন্ধ্যায় এক বাইক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাৎই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ছড়িয়ে পড়ে বাইক আরোহীর মৃত্যুর গুজব। মুহূর্তের মধ্যেই ক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নেমে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার যাদোপুর চক সংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের একটি বোলেরো গাড়ির সঙ্গে মোটরবাইকের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনজন বাইক আরোহী— নন্দ কুমার চৌহান, এহসান আলি ও রাজা হুসেন। তাঁরা গোপালগঞ্জের সারেয়া মহল্লার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ ও পুলিশ মিলে দ্রুত তাঁদের সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে তিনজনেরই চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাটি ঘটে সন্ধে সাড়ে ছ’টা থেকে সাতটার মধ্যে। সেই সময় এক পুলিশ বলেরো গাড়ি সার্কেল ইন্সপেক্টরকে নিয়ে পুলিশ লাইনের দিকে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই বিপরীত দিক থেকে একটি স্করপিও দ্রুতগতিতে এসে পড়ে। স্করপিওকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং সংঘর্ষ ঘটে।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার অবদেশ দীক্ষিত জানিয়েছেন, “তিনজন যুবক বাইকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পুলিশের একটি গাড়িও রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে স্করপিও আসতেই বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। দুর্ঘটনায় তিনজনই আহত হন এবং তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
কিন্তু আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে আহতদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মুহূর্তেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা। শতাধিক মানুষ রাস্তায় নেমে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সেই গাড়িটি।
ঘটনার পর এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উত্তেজনা পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, গুজব ছড়ানোর উৎস ও গাড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনায় কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।




















