লালকেল্লা বিস্ফোরণ পরিকল্পনা নয় — তদন্তে দেখা গেছে দুর্ঘটনাজনিতভাবেই বিস্ফোরণ

লালকেল্লা বিস্ফোরণ পরিকল্পনা নয় — তদন্তে দেখা গেছে দুর্ঘটনাজনিতভাবেই বিস্ফোরণ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram


দিল্লি – কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর বিবরণ: লালকেল্লায় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণ ছিল পরিপূর্ণভাবে পরিকল্পিত কোনও ফিদায়ে হামলা নয়, বরঞ্চ তাড়াহুড়ো আর অপূর্ণ প্রস্তুতির ফল। গোয়েন্দারা মনে করছেন, বিস্ফোরক তৈরির পর্যায়েই ত্রুটি থাকায় তা পূর্ণমাত্রায় কাজ করতে পারেনি।

তদন্ত থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত ডাক্তার উমর নবী পুরোপুরিভাবে বিস্ফোরক প্রস্তুত করতে পারেননি — বিশেষ করে কোনও শার্পনেল বা ধাতব অংশ মেলেনি, যা আঘাত ও ক্ষতির মাত্রা বাড়াত। সেই কারণেই বিস্ফোরণের মাত্রা “সীমিত” ছিল; যদি সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হত, ফলাফল আরও বিধ্বংসী হতে পারত।

গোয়েন্দারা বলছেন, ফরিদাবাদে এক ভাড়া বাড়িতে প্রায় ৩,০০০ কেজি বিস্ফোরক জায়গায় মজুত থাকার খবর পাওয়ার পরই মূলে পরিকল্পনা ভেঙে যায়। দিল্লি-এনসিআর ও ফরিদাবাদে সঙ্গীরা গ্রেফতার হওয়ার পর উমর নিজেই ধরা পড়ার ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং দ্রুতই বিস্ফোরক অন্যত্র সরিয়ে নেবার উদ্যোগ নেয়।

তবে সরবরাহ চলাকালীনই ঘটনাচক্রে গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরকে নিয়ে যাওয়ার সময়ই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল পর্যালোচনায় তদন্তকারীরা চিহ্ন পান যে বিস্ফোরণের সময় গাড়িটি চলন্ত ছিল ও তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতেই চলছিল — যা সুইসাইড/ফিদায়ে ধাঁচের হামলার সঙ্গে মেলে না। সেইসব কারণ মিলিয়ে তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে এই বিস্ফোরণকে দুর্ঘটনাজনিত বলে ধরছেন।

দেশব্যাপী বড়ো হামলা রুখে দিতে প্রচণ্ড তদন্ত ও ধরপাকড়ের পটভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে মনে করা হচ্ছে। দেশজুড়ে সাঁড়াশি তল্লাশি ও জঙ্গি ডাক্তারদের ‘মডিউল’ ধরা পড়ায় উমরসহ সদস্যরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া শুরু করে — কিন্তু সেই তাড়াহুড়োই শেষ পর্যন্ত বিপত্তি ডেকে আনে।

তদন্ত এখনও জোরেশোরে চলছে; উমরের সকল সম্ভাব্য সংযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং বিস্ফোরক নিয়ে তাদের আসল পরিকল্পনা কী ছিল তা বিশদভাবে যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা স্কুল, কর্মক্ষেত্র বা জনসমাগম কোথাও বিস্ফোরক ব্যবহার করে এরকম বড়ো আঘাত দেওয়ার চেষ্টা হবে কি না—তাও দেখছেন।

প্রাথমিকভাবে, পুলিশ ও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন—বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত হওয়ার ফলে আরও বড় বিপর্যয় ঠেকানো গেছে, এবং বর্তমানে সমস্ত লিঙ্ক ও যোগাযোগ চেইন ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে। তদন্তে নতুন তথ্য লাভের সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ ও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top