দিল্লি – কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে বিজেপির টিকিট না-পাওয়ার হতাশা থেকেই আত্মঘাতী হলেন বলে অভিযোগ উঠেছে আরএসএস কর্মী আনন্দ কে থাম্পির। শুক্রবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি ৪২ বছরের আনন্দকে। বন্ধুদের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপে শেষ মেসেজে নিজের আত্মহত্যার কথাই জানিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিরুঅনন্তপুরম পুরসভা নির্বাচনের ত্রিক্কান্নাপুরম ওয়ার্ড থেকে বিজেপির টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন আনন্দ। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর নিজের নাম না দেখে ভেঙে পড়েন তিনি। ক্ষোভে বন্ধুবান্ধবকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো একাধিক মেসেজে বিজেপি ও আরএসএস নেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মেসেজ পাওয়ার পর বন্ধুরা তাঁর বাড়িতে ছুটে গেলেও তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। বাড়ির সামনে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পান তাঁরা।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, দলের টিকিট না-পেয়ে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন আনন্দ। তবে বন্ধুরা তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করছেন মনে হওয়ায় মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েন তিনি। পাশাপাশি তাঁর পাঠানো মেসেজে উঠে এসেছে বিজেপির কয়েক জন স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। আনন্দের দাবি ছিল, এই নেতারা বালি মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে তাঁকে টিকিট দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, “ঘটনাটি শুনে আমি বিস্মিত। জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি—তিনি জানিয়েছেন, ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকায় আনন্দের নামই ছিল না। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।”
অন্যদিকে, শিবসেনা দাবি করেছে, বিজেপি টিকিট না দেওয়ার পর নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য আনন্দ তাঁদের কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন। শুক্রবার এক হোটেলে শিবসেনা নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকও হয়। সেখানে তিনি শিবসেনায় যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন বলেও দাবি তাদের। শনিবার সকালে সেই নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন আনন্দ। কিন্তু এর পরেই অভিমানে আত্মঘাতী হন বলে অনুমান পুলিশের। গোটা ঘটনাই সূক্ষ্মভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।




















