রাজ্য – বঙ্গে শীতের আগমনে বড় বাধা তৈরি করেছে বঙ্গোপসাগরের পূবালী হওয়া। আগামী অন্তত ন’দিন এই পূবালী হাওয়ার প্রভাব দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বজায় থাকবে। এর ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রায় স্পষ্ট ওঠানামা দেখা যাবে। নভেম্বরে এখনই জাঁকিয়ে শীত নামার সম্ভাবনা নেই। বরং গত কয়েক দিনে যে হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছিল, তাও কমতে চলেছে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আপাতত রাজ্যের কোনও জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে দক্ষিণ থেকে উত্তর—সব জেলাতেই আগামী তিনদিন রাতের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি। পরবর্তী চার দিনে তাপমাত্রার তেমন পরিবর্তন ঘটবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
শনিবার নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে, যা পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আরও স্পষ্ট হবে। আবহাওয়া দফতর বলছে, এরই মধ্যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকতে চলেছে উত্তরবঙ্গে। ২০ এবং ২১ নভেম্বর দার্জিলিং, কালিম্পং এবং সিকিমের কিছু অঞ্চলে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, বঙ্গোপসাগরে শনিবার তৈরি হচ্ছে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত, যা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আন্তর্জাতিক আবহাওয়া গবেষণা সংস্থাগুলির দাবি, ২৬ নভেম্বর সেটি একটি মৃদু ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে।
অনুমান করা হচ্ছে, ২৭ নভেম্বর ঘূর্ণাবর্তটি অন্ধ উপকূলের কলিঙ্গপত্তনম মৎস্য বন্দর এলাকার কাছাকাছি প্রবেশ করবে। এর প্রভাবে ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় ছয় জেলায় আকাশ থাকবে মেঘলা, বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়বে এবং আর্দ্র অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হবে। উপকূলসংলগ্ন কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় রাতের তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। কলকাতায় মঙ্গলবার রাতের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১৯ ডিগ্রি। শুক্রবার ভোরের মধ্যে তা বেড়ে ২১ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে বলে অনুমান করছে আবহাওয়া দফতর।



















