রাজ্য – রাজ্যের বহুল চর্চিত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানানো হয়েছে যে, চার্জশিট তৈরির পরও এতদিন চার্জগঠন থমকে ছিল শুধু এই অনুমোদনের অভাবে। সিবিআই দীর্ঘদিন ধরেই এই অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। অবশেষে তা পাওয়া গেল গত ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেওয়ার পর।
একইসঙ্গে পর্ষদের তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বিরুদ্ধেও ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। তবে রাজ্যপালের অনুমোদন না থাকায় বিচার প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ এগোতে পারেনি। রাজভবন জানিয়েছে, মানিক ও রত্না—এই দু’জনের বিরুদ্ধেই বিচার শুরু করতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সরকারি পদাধিকারীর বিরুদ্ধে পদে থাকাকালীন অপরাধের অভিযোগ আনতে সাংবিধানিক অনুমোদন বাধ্যতামূলক। সেই কারণেই রাজভবনের অনুমোদন এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এই চার্জশিটে বীরভূমের নলহাটির প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারীর নামও রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদের সভাপতির পদ হারান মানিক ভট্টাচার্য, পরে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দীর্ঘ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। রত্না চক্রবর্তী বাগচী এবং বিভাস অধিকারীকেও বারবার তলব করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে, কয়েক মাস আগে নয়ডা থেকে বিভাস অধিকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ ছিল, তিনি একটি ভুয়ো সংস্থা—‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন’—নামের অফিস খুলে প্রতারণা করছিলেন। এই মামলায় তাঁর ছেলে অর্ঘ্য অধিকারী-সহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। ইডিও মানিকের গ্রেফতারের পর উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়, যা বিভাসের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করা হয়েছিল। সেই ফ্ল্যাট পরে সিল করে দেওয়া হয়। এর আগে সিবিআই বিভাসের বীরভূমের বাড়ি এবং আশ্রমেও তল্লাশি অভিযান চালায়।




















