মুর্শিদাবাদ – তৃণমূলের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির ফের দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন। বহুবার দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, নতুন দল গঠনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন। এবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন—আগামী ৬ ডিসেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকবেন না। এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব কি তাহলে আরও বেড়েছে?
৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকী উপলক্ষে ওইদিন মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে ঘোষণা করেছেন হুমায়ুন। তিনি জানান, “১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। সেটি কালাদিবস। মুর্শিদাবাদে নতুন করে বাবরি মসজিদ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তৈরি হবে ট্রাস্টি বোর্ড। এটি পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি। তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে নয়, একজন সাধারণ সংখ্যালঘু মানুষ হিসেবে এটি করছি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।” এই অনুষ্ঠানে আইএসএফের বিধায়ক আব্বাস সিদ্দিকিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর, যা রাজনৈতিক মহলে আরও জল্পনা বাড়িয়েছে—বিধানসভা নির্বাচনের আগে তবে কি নতুন জোটের ইঙ্গিত?
মুর্শিদাবাদ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। সেখানে হুমায়ুন ‘দাপুটে’ নেতা হিসেবে পরিচিত। ভোটের আগে তাঁর লাগাতার মতবিরোধ তৃণমূলের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। দলের তরফে বহুবার কঠোর বার্তা দেওয়া হলেও হুমায়ুন তাতে গুরুত্ব দেননি। বরং সাম্প্রতিক সময় বারবার প্রকাশ্যে দলবিরোধী মন্তব্য করে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত দলের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে জল্পনা আরও ঘনীভূত—হুমায়ুন কি স্বেচ্ছা বহিষ্কারের পথেই হাঁটছেন? নাকি ভোটের আগে আরও বড় রাজনৈতিক নাটক সামনে আসতে চলেছে? সময়ই সেই উত্তর দেবে।




















