রাজ্য – নির্বাচনের আগে রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে টেন্ডার ও পেমেন্ট নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের চলতি টেন্ডার প্রক্রিয়াকে সামনে রেখে ঠিকাদারদের সতর্ক করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার আগে যে কাজ নেওয়া হবে, তার পেমেন্ট মিলবে না। তাঁর দাবি, ৯,১১৪টি স্কিমে টেন্ডার চলছে এবং ৭ হাজার কোটি টাকা তহবিল দেখানো হলেও বাজেটে কোনও বরাদ্দ নেই। তাই ঠিকাদারদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, “এখন কাজ নেবেন না, কোনও অর্থ পাবেন না। বিজেপি আসছে, রাজ্যের পুনর্নির্মাণের দায় আমাদের।”
শুভেন্দুর বক্তব্য ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, উন্নয়নমূলক কাজ থামানোর পরামর্শ দেওয়া জনবিরোধী। তিনি বলেন, “ভোটের আগে বলে কি উন্নয়নের কাজ থেমে যাবে? বরাদ্দ বন্ধ করিয়ে আনে বিরোধীরাই, আর মানুষের উপকারের কাজ ঠেকাতে চাইছে।” কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও শুভেন্দুর বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রশ্ন তোলেন, সাংসদ থাকা অবস্থায় তিনিই কি ঠিকাদারদের মাধ্যমে কাজ করাতেন না?
এদিন শুভেন্দু অভিযোগ তোলেন কাটমানির কারণে ঠিকাদারদের টাকা আটকে রাখা হচ্ছে। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে একাধিক ব্রোকারের ছবি প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে এসআইআর নিয়ে ফের রাষ্ট্রপতি শাসনের হুঁশিয়ারি দেন। তাঁর দাবি, “এসআইআর যদি স্বচ্ছভাবে না হয়, সংবিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ হবেই।” পাল্টা জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি পরাজয়ের আশঙ্কায় বারবার রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা তুলছে। তাঁর দাবি, ভোট হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আড়াইশোর বেশি আসন নিয়ে ফিরবেন।
বিজেপির আরেক দাবি, এসআইআরের ফলে ভোটার তালিকা থেকে ১ কোটি ১৫ লক্ষ নাম বাদ যেতে পারে। শুভেন্দুর অভিযোগ, সরকার বাঁচাতে প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ৭ ডিসেম্বর পুলিশের বদলির চালিকা প্রকাশ পাবে। এদিন সন্ধ্যায় দাসনগরে একতা যাত্রায় অংশ নেন তিনি।




















