বিদেশ – শেষ পর্যন্ত কোনও বাধা ছাড়াই সম্পন্ন হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির বহু প্রতীক্ষিত সৌজন্য সাক্ষাৎ। ভারতীয় সময় শুক্রবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসে দুজনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে করমর্দন করেন, হাসিমুখে ছবি তোলেন এবং পরস্পরের প্রশংসায় মেতে ওঠেন। বহু বিতর্ক ও সোশ্যাল মিডিয়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও বৈঠক ছিল শান্তিপূর্ণ।
রাজনৈতিক মতাদর্শে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে থাকা এই দুই নেতা গত তিন মাস ধরে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একে অপরের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সমালোচনা করছিলেন। অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতো মামদানিকেও ট্রাম্প ‘গেট আউট’ বলতে পারেন। কিন্তু বৈঠক শেষে দুজনেই জানিয়েছেন, তাঁরা নিউইয়র্ককে আরও সমৃদ্ধ ও সুশাসনের আদর্শ শহর হিসেবে গড়ে তুলতেই একসঙ্গে এগোতে চান।
নির্বাচনের আগে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, মামদানি মেয়র হলে নিউইয়র্কবাসীর দুর্দশা বাড়বে এবং তিনি শহরের জন্য কোনও অতিরিক্ত ফেডারেল অর্থ বরাদ্দ করবেন না। তিনি মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’, ‘রাষ্ট্র ধ্বংসকারী’ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন। বিপরীতে মামদানি ট্রাম্পকে মানবতাবিরোধী ও কর্তৃত্ববাদী বলে সমালোচনা করেছিলেন, এবং অভিবাসন ও কল্যাণমূলক প্রকল্পে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
শুক্রবার সকালে ট্রাম্প তাঁর ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “একজন বিশেষ ব্যক্তি আজ আমার অতিথি হতে চলেছেন—নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানি।” এই পোস্টকে ঘিরেই বৈঠকের ফলাফল নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের অতিথিদের সঙ্গে ব্যবহার নিয়ে বহু বিতর্ক ছড়িয়েছে, তাই এ দিন হোয়াইট হাউসেও উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।
সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতেই ট্রাম্পের মন জিতে নেন মামদানি। ট্রাম্প ডাকেন তার আগেই তিনি হাসিমুখে প্রেসিডেন্টের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। এতে বিগলিত হয়ে ট্রাম্প তাঁর হাত শক্ত করে চেপে ধরেন। পরে দুজনেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ছবি তোলেন। বৈঠক শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, “নতুন মেয়রের সঙ্গে দারুণ সময় কাটল।”



















