নন্দীগ্রাম ঘিরে জল্পনা, অভিষেকের ভোটাভিষেক ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক

নন্দীগ্রাম ঘিরে জল্পনা, অভিষেকের ভোটাভিষেক ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



রাজ্য – বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে ফের তুঙ্গে উত্তেজনা। নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতর চলছে, যেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ভোট লড়ার সম্ভাবনা নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) মন্তব্যের পর রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা আরও বেড়েছে।

বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর কাছে খবর আছে অভিষেক নন্দীগ্রামের বিধানসভা থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারেন। তাই নিজের ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের ওই জেলায় বদলি করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে অভিষেক নন্দীগ্রামকে বেছে নিতে পারেন। পরে তিনি মন্তব্য স্পষ্ট করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানেই দাঁড়াবেন, সেখানেই হারানো হবে।

অন্যদিকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী জানান, “ও যদি এখানে দাঁড়ায়, তবুও কেউ ভোট দেবে না।” তৃণমূল পক্ষ এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে। দল বলছে, লোকসভা ভোটের পর থেকে শুভেন্দু বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের অপছন্দের তালিকায় রয়েছেন। নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হয়েছে, তাই আসন ধরে রাখা শুভেন্দুর বড় চ্যালেঞ্জ। দলের মতে, এখানে অভিষেক-মমতার সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হবে না, একজন বুথস্তরের তৃণমূল প্রার্থী জিতবে।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সুকান্তের বক্তব্য নতুন করে জল্পনা উস্কে তুলেছে। অতীতের নজির অনুযায়ী, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েন এবং ছ’মাস পরে ভবানীপুরে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন। শুভেন্দু অধিকারীও এক সময় সাংসদ পদ ছাড়ার পর মন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরেই প্রশ্ন ওঠছে, এবার কি অভিষেকও নন্দীগ্রামকে বেছে নিতে পারেন।

এদিকে, তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচিত তথ্য ফাঁস করে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। অভিষেক লিখেছেন, কমিশন তথ্য ফাঁস করছে যেন প্রমাণ করা যায় তাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যে। তিনি দাবি করেন, সত্যিই যদি কোনও লুকোনোর কিছু না থাকে, তবে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ ও নথি প্রকাশ করা হোক। না হলে এটি কমিশনের অসৎ উদ্দেশ্য প্রমাণ করবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top