মুর্শিদাবাদ – মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার দেওয়ানসরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের মৃদাদপুর গ্রামে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) প্রক্রিয়ার সময় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৭০ বছর বয়সী নূরাল শেখ জানতে পারেন, তাঁর এক ‘সদ্যোজাত’ ছেলে রয়েছে—যার বয়স ৪০!
সূত্রের খবর, ৪০ বছর বয়সী বাবু শেখ এসআইআর ফর্মে নূরালকে নিজের ‘বাবা’ হিসেবে দেখিয়ে নথি জমা দেন। এরপর থেকেই নূরাল শেখের পরিবারে উত্তেজনা ছড়ায়। তিন মেয়ে ও দুই ছেলে ছাড়াও ‘নতুন’ সন্তানের অস্তিত্বের কারণে সম্পত্তি ভাগ নিয়ে পরিবারে ঝামেলা বেড়েছে।
গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, বাবু শেখ প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের নাগরিক। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের বাসিন্দা হলেও, ভুয়ো নথি তৈরি করতে তিনি নূরাল পরিবারকে অর্থ দিয়ে রাজি করিয়েছিলেন। তবে এসআইআর শুরু হতেই পরিবারের সন্দেহ প্রকাশ্যে আসে।
নূরাল শেখ স্পষ্ট করেন, “বাবু শেখ আমার সন্তান ছিলেন না, এখনো নন। কীভাবে আমার নাম ব্যবহার করেছে বুঝতে পারছি না। বিএলওকে জানিয়েছি—মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।”
৭৬ নম্বর পার্টের বিএলও সরোজ হালদার জানান, “ভোটার তালিকায় নাম থাকার কারণে বাবু শেখের নামে এসআইআর ফর্ম ইস্যু হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি বিডিও-কে জানানো হয়েছে।”
গ্রামে এখন বাবু শেখকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী সাজেমা বিবি বলেন, “আমি আট মাসের গর্ভবতী। তিন সন্তান আছে। যদি আমাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়, কোথায় যাব জানি না।”
লালগোলার তৃণমূল বিধায়ক মহম্মদ আলী মন্তব্য করেছেন, “এসআইআর প্রক্রিয়া জোরকদমে চলছে। এই ধরনের কিছু ঘটনা সামনে আসছে। শুনানি শুরু হলে সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।”
এসআইআর প্রক্রিয়ার জটিলতা এবং সন্দেহ এখন এক সাধারণ প্রৌঢ়ের জীবনে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।




















