উত্তর 24 পরগণা – অশোকনগরে ফের কঙ্কালকাণ্ডে তীব্র আলোড়ন। প্রয়াত সিপিএম নেতা বিজন মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে সংস্কারের কাজ চলাকালেই মাটি খুঁড়তে উদ্ধার হয়েছে দুটি মানুষের খুলি-সহ একাধিক হাড়। ঘটনাটি সামনে আসতেই রাজনৈতিক উত্তাপে যেন আরও আগুন লাগে। তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী অভিযোগ তুলেছেন, “সিপিএমের হার্মাদের কলঙ্কিত ইতিহাস মাটির তলা থেকে কঙ্কাল আকারে বেরিয়ে এসেছে।” এতে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
বারাসত জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়া জানিয়েছেন, দুটি মানুষের কঙ্কাল উদ্ধারের পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে এবং সোমবার এনাটমি বিশেষজ্ঞরা তদন্তে আসবেন। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের পরেই জানা যাবে কাদের কঙ্কাল, কীভাবেই মৃত্যু হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অশোকনগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণগড় স্বামীজি সংঘ ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় থাকতেন প্রয়াত সিপিএম নেতা বিজন মুখোপাধ্যায়। তাঁর বেডরুম ভেঙে নতুন ঘর তৈরি করতে গিয়ে মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা কঙ্কাল সামনে আসে। খবর ছড়াতেই এলাকাবাসীর ভিড়, পরে পুলিশ এসে কঙ্কাল উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে।
২০০২ সালে একই এলাকার একটি জলের ট্যাঙ্ক থেকেও পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল—সেই ঘটনার উল্লেখ করে তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী দাবি করেন, আশি-নব্বইয়ের দশকে সিপিএমের দাপটে এই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ ছিল। তাঁর কথায়, “আমরা অনুমান করছি, কঙ্কালগুলি তৎকালীন কংগ্রেস কর্মীদের হতে পারে। আরও কঙ্কাল হয়তো বাড়ির আশপাশেই চাপা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জীবিত অভিযুক্ত সিপিএম কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।
অন্যদিকে, সিপিএমের জেলা সম্পাদক পলাশ দাস পাল্টা মন্তব্য করে জানান, ২০১১ সালের পর তৃণমূল নানান অভিযোগ করেই এসেছে, কিন্তু শেষমেশ নানা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের নেতারাই জেলে গিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘিরে তদন্ত চলছে, আর রাজনৈতিক তরজা আরও ঘনীভূত হয়ে উঠেছে।




















