ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন, ভোটারকে না পেয়ে সর্বসমক্ষে নোটিস টাঙালেন বিএলও

ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন, ভোটারকে না পেয়ে সর্বসমক্ষে নোটিস টাঙালেন বিএলও

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



হুগলি – এসআইআর আবহে বিভিন্ন এলাকায় ভোটার তালিকায় নাম থাকা বা বাদ যাওয়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মনে দানা বাঁধছে নানা প্রশ্ন। কেউ বাড়িতে না থাকলে কী হবে, তালিকায় নাম না থাকলে কীভাবে সমাধান হবে—এমন সব প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকছে মানুষের মনে। এবার এমনই পরিস্থিতিতে ভোটারকে বারবার খুঁজে না পেয়ে সরাসরি সর্বসমক্ষে নোটিস টাঙিয়ে দিলেন বিএলও। বার তিনেক চেষ্টা করেও নির্দিষ্ট ভোটারদের না পাওয়ায় নোটিসের মাধ্যমে জানান দেওয়া হয় বিষয়টি।

জানা গেছে, চাঁপদানী বিধানসভার ১১১ নম্বর বুথের ২৫ জন ভোটার এবং ১১২ নম্বর বুথের ৩০ জন ভোটারকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। বৈদ্যবাটি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে গিয়ে বহু ভোটারকে বাড়িতে পাননি বিএলওরা। তিনবার এলাকা পরিদর্শনের পরও কারও দেখা না মেলায় নিয়ম মেনে বিভিন্ন স্থানে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচনী নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভোটারকে না পাওয়া গেলে এইভাবে পাবলিক নোটিস দেওয়াই বাধ্যতামূলক। এমনকি ওই বুথের দায়িত্বে থাকা বিএলএরাও ভোটারদের সন্ধান দিতে পারেননি।

স্থানীয়দের বক্তব্য, প্রকৃত ভোটার হলে তিনি এলাকায় থাকবেন কিংবা তাঁর পরিবার বা নিকট আত্মীয়দের কারও খোঁজ পাওয়া যাবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ভোটারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন কাউকেই পাওয়া যায়নি। তাঁদের দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃত বৈধ ভোটারদের নাম যেন থাকে এবং অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যায়—এটাই মূল প্রত্যাশা।

এদিকে বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা বিধানসভায় এসআইআর প্রক্রিয়ায় মৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। বরং শাসকদলের চাপের মুখে নাকি বিএলওদের নাম বাতিল না করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অভিযোগের পর নির্বাচন কমিশন দ্রুত নড়ে বসে। রবিবার ফলতায় পৌঁছায় কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক দল। ছিলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর্যবেক্ষক সি মুরুগান। সুব্রত গুপ্ত জানান, অভিযোগ আসতেই পারে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর সফটওয়্যারের সাহায্যে আরও যাচাই-বাছাই হবে এবং প্রয়োজনীয় শুনানিও করা হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top