রাজ্য – সোমবার সিইও দফতর থেকে রাজ্যের সব জেলার জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের উদ্দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, যেসব বুথে ০ থেকে ২০টির মধ্যে কোনও ফর্ম ফেরত আসেনি, সেই সব বুথে বিশেষ নজরদারি চালাতে হবে। সিইও দফতরের কাছে পৌঁছোনো পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার বুথের মধ্যে ২,২০৮টি বুথে ফিরতি ফর্মের সংখ্যা শূন্য। আবার ০ থেকে ১০ ফেরত ফর্ম পাওয়া বুথ ধরলে সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৭,৮৪৪। ফলে ০ থেকে ২০-এর মধ্যে ফর্ম ফেরত না পাওয়া বুথগুলির মোট সংখ্যা যে বেশ বড়, তা কমিশনের নজরদারির পরিধি থেকেই স্পষ্ট।
এই পরিস্থিতিতে এমন বুথগুলোতে অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেই বুথের ব্লক লেভেল অফিসারদের আপলোড করা সমস্ত তথ্য একাধিকবার খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট করা হয়েছে—যদি কোনও ফর্মে ইচ্ছাকৃত ভুল পাওয়া যায়, সংশ্লিষ্ট BLO-কে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কোনও পরিবারের অনুপস্থিত ভোটারের হয়ে পরিবারের কেউ স্বাক্ষর করলে BLO-কে বাধ্যতামূলকভাবে ফোন বা বাড়ি পরিদর্শন করে যাচাই করতে হবে যে ওই ব্যক্তি দেশের অন্য কোথাও ভোটার নন। BLO অ্যাপে এনুমারেশন ফর্ম এন্ট্রিতে ভুল দেখা দিলে ‘Rollback/Correction’ অপশন ব্যবহার করে তা সংশোধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২১-এর বিধানসভা ও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ‘Sensitive’ হিসেবে চিহ্নিত বুথগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে যেসব বুথে ম্যাপিং ৫০ শতাংশ বা তার বেশি, সেগুলোকেও বিশেষ পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
মৃত ভোটারদের তথ্য জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন দফতর এবং রেশন কার্ড বাতিলের তথ্যের ভিত্তিতে যাচাই করার কথা বলা হয়েছে। BLO-দের দেওয়া তথ্য ERO-রা খতিয়ে দেখবেন। নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ রয়েছে—২০০২ অনুযায়ী ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ভোটারদের তথ্য ফের যাচাই করতে হবে। ২০২৫-এর ভোটার তালিকায় অভিভাবকের নাম BLO-দের ম্যাপিং-এর সঙ্গে না মেললে সেই তথ্য পুনর্বিবেচনা করতে হবে। এছাড়া কোনও ভোটার ও তাঁর অভিভাবক হিসাবে উল্লেখিত ব্যক্তির বয়সের ব্যবধান ৪৫ বছরের বেশি বা ১৮ বছরের কম হলে সেই ক্ষেত্রেও পুনরায় তদন্ত করতে হবে।
সিইও দফতরের নতুন নির্দেশিকায় স্পষ্ট—ভোটার তালিকা সংশোধনে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না, এবং প্রতিটি তথ্য কঠোরভাবে যাচাই করেই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে হবে।



















