আদালতের নির্দেশে এবার মানুষের মতো সব অধিকার পাবে পশুরাও

আদালতের নির্দেশে এবার মানুষের মতো সব অধিকার পাবে পশুরাও

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ওরা অবলা, নিকৃষ্ট জীব। তাই হয়তো উৎকৃষ্ট মানবজাতি ওদের যাবতীয় অধিকার কেড়ে নিতে পারে। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য পশুপাখিদের সঙ্গে জড়বস্তু বা নিষ্প্রাণদের মতো আচরণ করা হয়। সেই দিন এবার বদলাতে চলেছে। পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, পশুপাখিদেরও দিতে হবে মানুষের মতো স্টেটাস। মানুষের যাবতীয় অধিকার পাবে ওরা।

মুখে পশুদের জন্য বড় বড় কথা বললেও ওদের মানুষের সমান অধিকার দেওয়ার প্রশ্নে নাক সিঁটকোন অনেকেই। বরং পশুদের দেখা হয় করুণার পাত্র হিসেবে। তাছাড়া, মানব সভ্যতার বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে জলাভূমি এবং বণভূমি সংকুচিত হচ্ছে, তাতে অনেক পশুর জন্যই জীবনধারণই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। এসব কথা মাথায় রেখেই হয়তো পাঞ্জাব-হরিয়ানা আদালতের বিচারপতি রাজীব শর্মা এই রায় দিয়েছেন। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও পশুদের মানুষের সমান মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট।

গত সপ্তাহেই একটি মামলার শুনানিতে এই রায় দেন বিচারপতি রাজীব শর্মা। তিনি বলেন,” পশুদের কোনও বস্তু বা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বিচার করা যাবে না। তাদেরও ন্যায়বিচার প্রয়োজন। নদী, হিন্দু বিগ্রহ এমনকী পুরভবনকেও জীবন্ত মানুষের স্টেটাস দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, সুরক্ষায় ও উন্নতির লক্ষ্যে সব পশুকেই জীবন্ত মানুষের স্টেটাস দেওয়া প্রয়োজন। পশুদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করে তাদের সবরকম ভয় ও যন্ত্রণা থেকে মুক্ত রাখতে হবে।” ২০১৭ সালে উত্তরাখণ্ডের যে বেঞ্চ গঙ্গা ও যমুনাকে জীবন্ত তকমা দিয়েছিল তারও অংশ ছিলেন বিচারপতি শর্মা। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়।আদালতের এই নির্দেশে খুশি পশুপ্রেমীরা। যদিও, তাদের ধারণা শুধু আইন করে পশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সেজন্য প্রয়োজন মানুষের মধ্যে সচেতনতার।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top