বিমানে উঠেই জব্বর ঘুম ঘুমিয়ে পড়েছিলেন টিফানি অ্যাডামস্। যখন ঘুম ভাঙল তখন কানাডার ওই যুবতী নিজেকে পেলেন পার্ক করে রাখা অন্ধকার, বদ্ধ বিমানের ভিতর। এয়ার কানাডার কিউবেক থেকে টরন্টোগামী বিমানে ঘটনাটি ঘটেছিল এমাসের প্রথম সপ্তাহে। সম্প্রতি টিফানি ঘটনাটি তাঁর বন্ধুকে বলার পর তিনি সেটি সোশ্যাল ওয়েবসাইটে আপলোড করেন। তারপরই ঘটনা সামনে আসে।
টিফানির কথায়, বিমানে তাঁর আসনের পুরো রো–টাই খালি ছিল। তাই নিশ্চিন্তে আরামে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। ঘুম ভাঙে গাঢ় অন্ধকারে ভরা, বন্ধ বিমানে। কারণ টরন্টো বিমানবন্দরে অবতরণের পর যাত্রী এবং কর্মীরা নেমে গেলে বিমানটি বিমানবন্দর থেকে হ্যাঙ্গারে নিয়ে পার্ক করে দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ খালি রো–র একটি আসনে ঘুমিয়ে থাকা টিফানিকে কেউই লক্ষ্য করেননি।
এদিকে ঘুম ভাঙার পর প্রথমে কিছু না বুঝলেও বিষয়টা বোধগম্য হতে এক বন্ধুকে ফোন করার চেষ্টা করেন টিফানি। কিন্তু ফোনের ব্যাটারি না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। সেই মুহূর্তে ভয় না পেয়ে এবং বদ্ধ বিমানে কোনওরকমে শ্বাসকষ্টের ধাক্কা সামলে প্রথমে ফোনের চার্জিং পয়েন্ট খোঁজেন তিনি। কিন্তু পার্ক করা বিমানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ফোন চার্জ করা যায়নি। এরপর একটি টর্চ পেয়ে সেই আলোতে কোনওমতে বিমানের একটি দরজা খোলেন তিনি। কিন্তু মাটি থেকে ৫০ ফুট উঁচু বিমান থেকে লাফাতে পারেননি। এরপর খোলা দরজার সামনে বসে টর্চের আলো ফেলে বিমানবন্দরে কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে থাকেন। সৌভাগ্যক্রমে কিছুক্ষণ পর বিমানযাত্রীদের মালবাহী গাড়ির এক চালক সেই আলো দেখতে পেয়ে বিমানের কাছে গিয়ে টিফানিকে দরজার বাইরে বসে থাকতে দেখে হতবাক হয়ে যান। তিনিই অন্য কর্মীদের খবর দিলে পর টিফানিকে উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় টিফানির কাছে ক্ষমা চেয়েছে এয়ার কানাডা। কীভাবে বিমানের ভিতর একজন যাত্রীকে রেখে কর্মীরা নেমে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কোম্পানি। এদিকে সেসময় অসম সাহস দেখিয়ে মুক্তির উপায় খুঁজলেও টিফানি বলেছেন, সেদিনের পর থেকে এখনও ভালো করে ঘুমতে পারেননি তিনি। কারণ চোখ বুজলেই একটা আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁকে।
বিমানে উঠেই ঘুমে কাদা, পরে কী হল কানাডার মহিলা যাত্রীর?
বিমানে উঠেই ঘুমে কাদা, পরে কী হল কানাডার মহিলা যাত্রীর?
Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram