নিজস্ব সংবাদদাতা,বীরভূম,১১ ই জুলাই : জলের তলায় অজয়ের ফেরিঘাট, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ*।
বর্ষা আসতেই বিভিন্ন জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া শুরু হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে কোপ পড়লো অজয় নদের উপর ফেরিঘাটে। গতরাতে হিংলো জলাধার থেকে জল ছাড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইলামবাজারের অজয় নদের উপর ফেরিঘাটের উপর দিয়ে বইছে জল। যে কারণে এই অস্থায়ী ফেরিঘাট দিয়ে যাতায়াত আপাতত বন্ধ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বীরভূমের সাথে পূর্ব বর্ধমানের বেশ কয়েকটি গ্রাম, ভোগান্তি এলাকাবাসীদের।
প্রতিবছর বর্ষার জল নামলে ইলামবাজার অজয় নদীর উপর এই জায়গায় মাটি দিয়ে একটি অস্থায়ী ফেরিঘাটের ব্যবস্থা করা হয় যাতায়াতের জন্য। যা দিয়ে প্রতিদিন অন্তত হাজার হাজার মানুষ বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের মধ্যে যাতায়াত করেন। কিন্তু বর্ষা এলেই প্রতি বছর একই ভোগান্তি। ভেঙে যায় ফেরিঘাট, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। তবে এর মাঝেও আবার বাঁশের তৈরি ফেরিঘাট বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল এবং পায়ে হেঁটে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।
ভর বর্ষাতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীর্ণ বাঁশের তৈরি ফেরিঘাট দিয়েও স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াত করেন কেবলমাত্র সময় বাঁচানোর জন্য। এই ফেরিঘাট না থাকলে ঘুরপথে দুই জেলার যোগাযোগ দীর্ঘক্ষন হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা অনুযায়ী, “অস্থায়ী ফেরিঘাট ভেঙে যাওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে পড়তে হবে দুর্ভোগের মধ্যে।” সে কারণে তাদের দীর্ঘদিনের দাবিও রয়েছে এই জায়গায় অজয় নদের উপর একটি স্থায়ী সেতু বানানোর।
স্থানীয়দের দাবি মত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দু বছর আগেই অজয় সেতু বানানোর সবুজ সংকেত এবং সিলন্যাসও করে গিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও সেতু বানানোর কাজের কোন গতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। মাঝে সেতু বানানোর বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সামান্য জমি জট, তাও এই মুহূর্তে কেটে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী এই জায়গায় অজয় নদের উপর স্থায়ী সেতু তৈরি হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের সুবিধা, দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ হবে সুদৃঢ়, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে জয়দেব কেন্দুলি বাড়বে আরো গুরুত্ব।