নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ,৮ ই আগস্ট : বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ সুন্দরবনের এর কনক নগরের ঘটনা।২২বছরের যুবক নব কুমার মন্ডল বাড়ি হুগলি চুঁচুড়া। মামার বাড়ি হিঙ্গলগঞ্জ কনক নগর গ্রামে। গত দুদিন আগে সোমবার দিন মামা নিতাই চন্দ্র মৃধার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ।গতকাল মঙ্গলবার সকাল বেলা পুকুরের দিকে যাচ্ছিল মাছ ধরতে ধান ক্ষেতে মধ্য দিয়ে ।সেই সময় বিষধর সাপ তাড়া করে ছোবল মারে ওই যুবককে। তারপর সে মামাবাড়িতে এসে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে নবকুমার কে নিয়ে গ্রামে এক ওঝার কাছে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন বেশ কয়েক ঘন্টা ঝাড়ফুঁক চলে ওই যুবককে নিয়ে ।তারপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।ওহ যুবককে নিয়ে কয়েক ঘন্টা ধরে কখনো গাছের পাতার ডাল বেটে খাওয়ানো আবার কখনো শিকড় খাইয়ে দেওয়া। চলে দীর্ঘ সময় ওঝার কেরামতি তারপর
একটা সময় বুঝতে পারে ওঝা আর হবে না তখনই ওঝা তারপর ওঝা বেগতিক বুঝে সেখান থেকে চলে যায় আস্তে আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওহ যুবক। তারপর তাকেনিয়ে ১৩ নম্বর হিঙ্গলগঞ্জ সেন্ডেল বিল গ্রামীণ হাসপাতালে নবকুমার কে বুধবার ভোর বেলায় নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণ করেন। ওহ যুবকে সাপে কামড়িয়েছে মঙ্গলবার সকাল বেলা আর হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছে বুধবার ভোর বেলা তার পর কোন সাপে কামড়িয়েছে তা চিহ্নিত করতে পারেনি পরিবারের কেউ । শুধু কি ওহ ওঝার কেরামতির জন্য আরও একটা জীবন চলে গেল তরতাজা যুবকের?না ওহ পরিবারের লোকের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ওই যুবকের মৃত্যু??
সাপের কামড় নিয়ে বিজ্ঞান মঞ্চের এত কর্মশালা সুন্দরবন এ এতো প্রচার সচেতনতা সত্বেও একবিংশ শতাব্দীর অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না প্রত্যয়ান্ত সুন্দরবন গ্রামবাসীরা। যেখানে হসপিটাল মাত্র বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে সেখানে না গিয়ে ওঝার বাড়িতে দিন গেল, সন্ধ্যা নামল তখন বেঁচে ছিল বছর বাইশের নবকুমার। তারপর নবকুমার এ পরিবারের লোকজন চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে হসপিটালে বিক্ষোভ দেখায় রাস্তা অবরোধ করে রাখে এবং প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ এসে বিক্ষোভ তুলে দেয়।তার পর চলে ওঝার খোঁজ ওঝা বাড়ি থেকে পলাতক। নবকুমার কে হাসপাতলে যখন নিয়ে যায় প্রায় মৃত যুবক জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।