নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর,৮ ই আগস্ট :লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে এসে সাধারণের জন্য কিছু করে দেখাবেন এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
আজ ভোটের মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা তে জন প্রতিবিধান শিবির করল বিজেপি।উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জয়ী বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।বৃহস্পতিবার বিকালে বেলদার একটি গেস্ট হাউস এ আয়োজন করা হয় এই প্রতিবিধান শিবিরের।প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ী অভাব অভিযোগ জানায় সাংসদ দিলীপ ঘোষের কাছে।এই দিনের এই প্রতিবিধান শিবিরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ৩৭০ ধারা ইস্যু নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তোপ দাগেন রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ।তিনি বলেন-“সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী কে কোন কথা বলতে শোনা যায়নি।এই ধরনের স্ট্রাইক হতে থাকবে এবং পর পর তাদের মন্তব্য করা বন্ধ হয়ে যাবে।”তিন তালাক বিল নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিয়েছেন দিলিপ ঘোষ।তিনি বলেন-“মুখ্যমন্ত্রী এখন নিজের ঘর বাঁচাতে ব্যস্ত।তাকে যে প্রেসক্রিপশন করেছেন পি.কে. সেটাই এখন তিনি মেনে চলার চেষ্টা করছেন।আজ শুনলাম তৃণমূলের মন্ডল প্রেসিডেন্টের নিয়ে ৫ দিনের ট্রেনিং চলছে।
এই ট্রেনিং তো আমাদের হয় ওদের কি?ওদের তো কাটমানির ট্রেনিং।আসলে টিএমসি কে বিজেপি করার চেষ্টা চলছে।”তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাট মানে প্রসঙ্গ তোলার পরে দিকে দিকে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি।কাটমানি ফেরতের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।এখন আবার প্রশান্ত কিশোরের কথা মতোই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে জনপ্রতিনিধিদের।এই প্রসঙ্গে ও সুর চড়িয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।তিনি বলেন-“তিনি নেতাদের বলছেন বাড়ি বাড়ি যাও কিন্তু নেতারা বাড়ি বাড়ি যাবে কোন মুখে!গেলেই তো লোক পয়সা চাইবে।তৃণমূলের অভ্যন্তরে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে গাছের ফোকরে লেজ আটকে গেছে।আমরাও দেখছি প্রতিরোধ কি গড়ায়।”
এই দিন আর এই জনতার দরবারে জনো প্রতিবিধান শিবিরে এসে সাধারণ মানুষের সাড়া পেয়েছেন অনেক।রেলের ওভার ব্রিজ তৈরি থেকে বেলদা কে নতুন করে সাজানো সহ একাধিক বড় বড় ইস্যু নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের কাছে।কতটা কার্যকর হয় সেটাই এখন দেখার